1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা অব্যাহত

১৮ অক্টোবর ২০২২

সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ একাধিক শহরের উপর রুশ হামলা ঘটেছে৷ বেলারুশে আরও সৈন্য মোতায়েন করছে মস্কো৷ ইরানের ড্রোন কর্মসূচিতে জড়িত থাকলে শাস্তির হুমকি দিচ্ছে ওয়াশিংটন৷

https://p.dw.com/p/4IJB4
Ukraine-Krieg | Drohnenangriffe auf Kiew
কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় বিধ্বস্ত ভবন থেকে এক নারীকে উদ্ধার করার দৃশ্য ছবি: Vladyslav Musiienko/REUTERS

গত সপ্তাহ থেকেই ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া৷ ক্রাইমিয়া সেতুর উপর হামলার ‘প্রতিশোধ'নিতে যে সামরিক অভিযান শুরু হয়েছিল, তার সমাপ্তির কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ সোমবার ইউক্রেনের একাধিক শহরের উপর হামলায় কমপক্ষে সাত জন নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে৷ শুধু রাজধানী কিয়েভেই পাঁচটি বিস্ফোরণ ঘটেছে৷ ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মনাস্টিরস্কির মতে, রাশিয়া প্রায় ৪০টি ড্রোন দিয়ে কিয়েভে এ দিনের হামলা চালিয়েছে৷  নিরীহ মানুষের উপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি৷ তবে শত্রুর হামলা সত্ত্বেও ইউক্রেনের মানুষ ভেঙে পড়ছে না বলে তিনি দাবি করেন৷ তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকে ইউক্রেন ৩৭টি ড্রোন ও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করা হয়েছে৷ জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সমাজের উদ্দেশ্যে আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রণালী সরবরাহের আবেদন জানান৷ তাঁর মতে, শুধু ইউক্রেনের স্বার্থেই নয়, বৃহত্তর স্বার্থে যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে রাশিয়ার ‘সন্ত্রাসী' ক্ষমতা যতটা সম্ভব কমানো প্রয়োজন৷

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী জাহাজ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর উপর হামলা চালানো হয়েছে এবং প্রতিটি লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত সফল হয়েছে৷ গোটা দেশের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বলে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহাল জানিয়েছেন৷

ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তে রুশ দখলদারী সেনাবাহিনীর চরম ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার বর্তমান রণকৌশল স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ একদিকে গোটা দেশের উপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ইরানে তৈরি ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে৷ অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর উপর চাপ বাড়াতে উত্তরে বেলারুশে জোরালো সামরিত তৎপরতা শুরু করেছে মস্কো৷ বেলারুশের উপর সম্ভাব্য ইউক্রেনীয় হামলার অজুহাত দেখিয়ে এমন তৎপরতা চালালেও বেলারুশের মদতে অথবা সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে উত্তর থেকে ইউক্রেনের উপর রুশ সামরিক হামলার আশঙ্কা বাড়ছে৷ সে ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সম্মিলিত শক্তি বিভক্ত হয়ে পড়বে৷ উল্লেখ্য, রাশিয়া বেলারুশে প্রায় নয় হাজার সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করছে৷

ইউক্রেন যুদ্ধে বেলারুশ ছাড়াও রাশিয়ার জন্য ইরানের মদত নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ মার্কিন প্রশাসন রাশিয়া ও ইরানের অস্ত্র বাণিজ্য বানচাল করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে৷ যে সব দেশ ও কোম্পানি ইরানের ড্রোন কর্মসূচিতে জড়িত রয়েছে, তাদের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপের হুমকি দিচ্ছে ওয়াশিংটন৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত পটেল বলেন, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে আরও গভীর সম্পর্ক গোটা বিশ্বের জন্য বড় হুমকি৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেড়ে চলা ড্রোন হামলার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের সুরক্ষার জন্য সব সম্ভাব্য সরঞ্জাম সরবরাহের উপর জোর দিয়েছেন৷ নিজস্ব শক্তিতে ইউক্রেনের উপর কবজা করতে না পেরে রাশিয়া ইরান, উত্তর কোরিয়া ও চীনের কাছে অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা চালানোর সিদ্ধান্তকে আখেরে মস্কোর দুর্বলতা ও ব্যর্থতা তুলে ধরছে বলে ওয়াশিংটন মনে করছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)