1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনের ইউরোপীয় স্বপ্ন কতটা বাস্তব?

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ইউক্রেন দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হবার স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবে সেই পথ যে মোটেই সহজ নয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সে কথা বুঝিয়ে দিচ্ছে ইইউ নেতৃত্ব৷ তবে নীতিগতভাবে কিয়েভকে স্বাগত জানাচ্ছে ব্রাসেলস৷

https://p.dw.com/p/4N3Ib
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি৷
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি৷ ছবি: Uncredited/Ukrainian Presidential Press Office/AP/dpa/picture alliance

গত প্রায় এক বছর ধরে রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করে চলেছে ইউক্রেন৷ ২০১৪ সাল থেকেই দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা হুমকির মুখে৷ হামলার মুখে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বার বার ব্যাহত হচ্ছে৷ এরই মাঝে অদূর ভবিষ্যতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হবার স্বপ্ন দেখছে সে দেশ৷ কিন্তু ইউক্রেনের জন্য মানবিক, আর্থিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে এলেও সে দেশকে দ্রুত পূর্ণ সদস্য করার কথা এখনো ভাবতে পারছে না ইইউ৷

সদস্যপদের কঠিন শর্ত পূরণ করতে একাধিক দেশ অনেক বছর বা দশক ধরে যেখানে অপেক্ষা করে রয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক সংহতি সত্ত্বেও ইউক্রেনের জন্য ব্যতিক্রমের নজির গড়তে নারাজ ইউরোপের রাষ্ট্রজোট৷ আবেদনের ঠিক পরেই ইউক্রেনকে প্রার্থী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ইইউ ইতোমধ্যেই প্রথা ভেঙেছে৷ উল্লেখ্য, আবেদনের প্রায় এক দশক পর ২০১৩ সালে ইইউ-র সর্বশেষ সদস্য হিসেবে যোগদান করেছিল ক্রোয়েশিয়া৷ পোল্যান্ডের প্রায় ২০ বছর সময় লেগেছিল৷

এমনই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার কিয়েভে বসছে ইইউ-ইউক্রেন শীর্ষ সম্মেলন৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ও ইউরোপীয় সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন৷ বৃহস্পতিবারই ফন ডেয়ার লাইয়েন ট্রেনে করে কিয়েভে পৌঁছন৷ ইইউ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইউক্রেনের শীর্ষ সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷

ইউক্রেনের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি জোরালো সমর্থন জানালেও যুদ্ধের মাঝে ‘ফাস্ট ট্র্যাক' প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সে দেশকে দ্রুত সদস্য করার পথে অগ্রসর হতে নারাজ ব্রাসেলস৷ সম্প্রতি ইউক্রেনে দুর্নীতি দমন অভিযানের প্রশংসা করেছে ইইউ৷ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইইউ আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক বছর সময় লাগবে বলে কিয়েভকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ব্রাসেলসের কর্মকর্তারা৷ ইউক্রেনের সরকার দ্রুত সব শর্ত মেনে চলতি বছরের শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করতে চান৷ গত বছরের গ্রীষ্মকাল থেকে ইউক্রেনের অগ্রগতির প্রশংসা করেন ফন ডেয়ার লাইয়েন৷

বৃহস্পতিবারের আলোচনার পর জেলেনস্কি বলেন, একমাত্র শক্তিশালী ইউক্রেন ও শক্তিশালী ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিলে ও আরও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত জীবনযাত্রা অর্জন করা সম্ভব৷ এভাবেই বাধা ও হুমকি সত্ত্বেও মানুষ শক্তি ও প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে৷

আপাতত জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞার দাবি করছেন৷ ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার বর্যপূর্তি উপলক্ষ্যে ইইউ নতুন দফার শাস্তিমূলক পদক্ষেপের যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা যথেষ্ট জোরালো নয় বলে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন৷ ২৪শে ফেব্রুয়ারির আগে রাশিয়ার উপর ইইউ দশম দফা নিষেধাজ্ঞার গুচ্ছ অবশ্য চূড়ান্ত হয়নি৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)