1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

ইউক্রেন সংকটে মধ্যস্থতার আগ্রহ বাড়ছে

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার আগ্রহ দেখিয়েছেন৷ তবে দুই দেশ এমন প্রস্তাবে এখনো কোনো সাড়া দেয়নি৷

https://p.dw.com/p/4MwPm
ছবি: RONEN ZVULUN/UPI Photo/IMAGO

চরম বিতর্কিত এক জোট সরকার গড়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন৷ তার সরকারের কিছু পদক্ষেপ দেশে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করছে বলে অভিযোগ উঠছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরায়েল সফরে গিয়ে অধিকৃত এলাকায় বসতি সম্প্রসারণের প্রকাশ্য বিরোধিতা করছেন৷ পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রেও নেতানিয়াহু প্রশ্নের মুখে পড়ছেন৷ বিশেষ করে রাশিয়ার হামলা সত্ত্বেও ইসরায়েল আক্রান্ত দেশ হিসেবে ইউক্রেনকে সক্রিয় সহায়তা না করায় ক্ষোভ বাড়ছে৷ ইউক্রেনের ইহুদি ধর্মাবলম্বি প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি ইসরায়েলের বিগত সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকারও সমালোচনা করেছিলেন৷

সিএনএন সংবাদ নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন সংকট সমাধানে নিজেকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরেছেন৷ তবে একমাত্র দুই পক্ষ চাইলেই তিনি সেই ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত৷ সেইসঙ্গে মার্কিন প্রশাসনকেও সেটা চাইতে হবে৷ নেতানিয়াহু আরও মনে করেন, মধ্যস্থতার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও সময় সৃষ্টি হলে তবেই সেই চেষ্টা চালানো উচিত৷ বিরোধী নেতা হিসেবেও তাঁকে নাকি এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল৷ ইউক্রেন নেতানিয়াহুর পূর্বসূরি নাফতালি বেনেট-কে এমন অনুরোধ করেছিল৷ বেনেট অবশ্য জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেন নি৷ নেতানিয়াহু ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার বিষয়টিও বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন৷


 

চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেন সংকট সমাধানে আচমকা মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রাজিলের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার সম্ভাবনা নাকচ করে বরং মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন৷ ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চালাতে চান তিনি৷ উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার ঠিক পর বিরোধি নেতা হিসেবে তিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকেও দায়ী করেছিলেন৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে লুলা অবশ্য ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলকে রাশিয়ার ভুল হিসেবে মেনে নিয়েছেন৷

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস৷ অদূর ভবিষ্যতে তিনি আবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন৷ পুটিনও নাকি আলোচনার জন্য প্রস্তুত৷ তবে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ড থেকে রুশ সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার না করলে কোনো কূটনৈতিক সমাধানসূত্র দেখছে না পশ্চিমা বিশ্ব৷ তাছাড়া আলোচনার সিদ্ধান্ত একমাত্র ইউক্রেনই নিতে পারে বলে মনে করিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমা নেতারা৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য