1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন সংকট: লিথুয়ানিয়ায় সেনা পাঠাচ্ছে জার্মানি

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ইউক্রেন সীমান্তে আরো সেনা বাড়িয়েছে রাশিয়া। প্রত্যুত্তরে লিথুয়ানিয়ায় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি।

https://p.dw.com/p/46c8P
জার্মানি
ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেশট রোববার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে জার্মানি অত্যন্ত চিন্তিত। গত কিছুদিনে রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে সেনার সংখ্যা আরো বাড়িয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই লিথুয়ানিয়ায় জার্মান সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে অতিরিক্ত অস্ত্র দেওয়া হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। অন্যদিকে রোববারই জার্মান চ্যান্সেলর ওয়াশিংটনে গিয়েছেন।

লিথুয়ানিয়া একসময় সোভিয়েট ইউনিয়নের অন্তর্গত ছিল। সোভিয়েতের পতনের পর তা আলাদা দেশে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন ধরেই জার্মানির একটি সেনা বেস আছে লিথুয়ানিয়ায়। বস্তুত জার্মানিই একমাত্র ন্যাটোর দেশ যাদের সেনা লিথুয়ানিয়ায় আছে। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী লিথুয়ানিয়াতে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। এ বিষয়ে লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জার্মান সেনা লিথুয়ানিয়ায় পৌঁছে যাবে। যোগ দেবে জার্মান বেসের অন্য সেনাদের সঙ্গে।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা ইতিমধ্যেই জার্মানি, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় অতিরিক্ত মার্কিন বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছে। পোল্যান্ড সীমান্তে মার্কিন বাহিনীর ছবি উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে। পাশাপাশি ইউরো ফাইটারদের একটি দল রোমানিয়ায় পাঠিয়েছে ন্যাটো। যে কোনো সমস্যায় যারা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবশ্য এদিন একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কোনোভাবেই ইউক্রেনের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে না। সম্প্রতি চিঠি লিখে জার্মানির কাছে অস্ত্র সাহায্য চেয়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু জার্মানি জানিয়ে দিয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি ইউক্রেনের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে যুদ্ধের সম্ভবনা আরো বাড়িয়ে দেওয়া হবে না। তবে প্রয়োজনে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে রেখেছে জার্মানি-সহ প্রতিটি ন্যাটো রাষ্ট্র।

এদিকে রোববারই ওয়াশিংটন গেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শোলৎস। যাওয়ার আগে বলেছেন, জার্মানির বন্ধ রাষ্ট্ররা জানে বার্লিনের অবস্থান কী? আগামী বৃহস্পতিবার বাল্টিক দেশগুলির সঙ্গে বৈঠক করার কথা শোলৎসের। আর ১৪ এবং ১৫ তারিখ তার ইউক্রেন ও রাশিয়া সফরে যাওয়ার কথা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)