1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনের আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে ইইউর প্রস্তুতি

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

এ পর্যন্ত পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে কমপক্ষে দুই লাখ মানুষ৷ রাশিয়ার সৈন্য ফিরে না গেলে ইউক্রেন থেকে পালানো মানুষের সংখ্যা ৫০ লাখও ছাড়াতে পারে৷ তাদের গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ৷

https://p.dw.com/p/47jBw
Ukraine Konflikt | Ukrainische Flüchtlinge überqueren die Grenze zu Ungarn
ছবি: Bernadett Szabo/REUTERS

কিন্তু কতজনকে নেয়া সম্ভব? ইউক্রেনে অবস্থানরত আফ্রিকান শিক্ষার্থীদেরও একইভাবে গ্রহণ করা হবে তো? ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বিশেষ সভায় এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ সেখানে ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীর সম্ভাব্য  সংখ্যা প্রসঙ্গে ইইউর স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ইলভা ইয়োগানসন বলেন, ‘‘কতজন আসবে তা আমি জানি না৷ আমার মনে হয় কয়েক মিলিয়ন মানুষের প্রস্তুতি নিতে হবে আমাদের৷''

জাতিসংঘ এবং শরণার্থী বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের অনুমান, ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়া মানুষের সংখ্যা ভবিষ্যতে ৪০ থেকে ৭০ লাখও হতে পারে৷ রাশিয়ার হামলা শুরুর প্রথম চারদিনে শুধু পোল্যান্ডেই এ পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ৷ রাশিয়া হামলা বন্ধ করে সৈন্য ফিরিয়ে নিলে এই দুই লাখসহ স্লোভাকিয়া ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেয়া সব ইউক্রেনীয়ই হয়ত নিজেদের দেশে ফিরে যাবে৷ কিন্তু ইইউ-র আশঙ্কা, রাশিয়া হামলা যতদিন চালিয়ে যাবে, ততই ভয়াবহ হবে সংঘাত আর তার পরিণামে তত বেশি মানুষ ইউক্রেন ছাড়বে৷

সামনেশরণার্থী গ্রীষ্মের' চেয়েও খারাপ সময়?

২০১৫ সালে সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ জার্মানিসহ মধ্য ইউরোপের দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়৷ ‘শরণার্থী গ্রীষ্ম' হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই সময়ে শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছিল জার্মানির ম্যার্কেল সরকার৷ অন্যান্য দেশও প্রাথমিকভাবে শরণার্থী গ্রহণে উৎসাহ দেখিয়েছে৷ কিন্তু পরে ধীরে ধীরে বদলে যায় পরিস্থিতি৷ পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়ার মতো দেশগুলো এক পর্যায়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রহণে পুরোপুরি অস্বীকৃতি জানায়৷

রাশিয়ার সৈন্য খুব তাড়াতাড়ি ফিরে না গেলে ২০১৫ সালের চেয়ে অনেক বেশি শরণার্থী আসতে পারে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে৷ তবে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার মনে করেন, ২০১৫ আর ২০২২-এর চলমান সময়ের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য, তাই ইইউ দেশগুলোর মধ্যে আগের মতো অনৈক্য দেখা না দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি৷ তার মতে, ‘‘এবার তো ইউরোপেই যুদ্ধ বেঁধেছে৷ সুতরাং ইউরোপীয় দেশগুলো বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখবে৷''

আফ্রিকান এবং অন্যদের কী হবে?

রাশিয়ার হামলা শুরুর পরই ইউক্রেন ছাড়তে শুরু করে অসংখ্য মানুষ৷ সব বিদেশির জন্য ইউক্রেন ত্যাগের সুযোগ অবারিত থাকলেও, ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষদের জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করে জেলেনস্কি সরকার৷ ফলে এখন যে ইউক্রেনীয়রা দেশ ছাড়ছেন, তাদের সবাই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ৷ পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই গ্রহণ করেছে তাদের৷ অথচ কয়েক সপ্তাহ আগে ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের কঠোরভাবে বাধা দিয়েছিল তারা৷

এদিকে সাউথ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা টুইট করে জানান, ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি৷ বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা চলছে৷

ইলভা ইয়োহানসন মনে করেন, ইউক্রেনে বসবাসরত বিদেশিদেরও প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রবেশ করতে দেয়া উচিত৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

বার্নড রিগার্ট/ এসিবি