ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে চলে এসেছেন প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। শেষপর্যন্ত কোথায় আশ্রয় পাবেন তারা?
প্রথমে প্রতিদিন এক লাখ করে
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে দিনে এক লাখ করে মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। প্রাণ বাঁচাতে তারা চলে গেছেন প্রতিবেশী দেশগুলিতে। উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পোল্যান্ডের একটি স্টেশনে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের সাময়িকভাবে রাখা হয়েছে।
এখন দিনে ৪০ হাজার
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার ফর হোম অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, এখন দিনে ৪০ হাজার মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের দেশগুলিতে আসছে।
অর্ধেক বাচ্চা
যারা ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের দেশগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছেন, তাদের অর্ধেকই বাচ্চা। আসলে বহু পুরুষ ও নারী হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। তারা বয়স্ক ও বাচ্চাদের পাঠিয়ে দিয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। উপরের ছবিটি স্লোভানিয়ায় ইউক্রেন থেকে আসা বাচ্চাদের।
সবচেয়ে বেশি মানুষ পোল্যান্ডে
পোল্যান্ডেই ২২ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পোল্যান্ড জানিয়েছে, এত কম সময়ের মধ্যে এত মানুষ আশ্রয় নেয়ায় তাদের অভিবাসন নীতি ভেঙে পড়ার মুখে।
জার্মানিতে তিন লাখ
জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস জানিয়েছেন, ইউক্রেন থেকে তিন লাখ মানুষ জার্মানিতে এসেছেন। উপরের ছবিতে বার্লিনের সেন্ট্রাল স্টেশনের সামনে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষরা।
জার্মানির প্রস্তাব
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্রেজার চিঠি লিখে পোল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন ছেড়ে আসা প্রত্যেকের জন্য ইইউ-র সদস্য দেশগুলি এক হাজার ইউরো করে দিক। ছবিতে পোল্যান্ডের একটি স্টেডিয়ামে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের প্রবেশের জন্য লম্বা লাইন।
ইইউ-র সিদ্ধান্ত
ইইউ-র মন্ত্রীরা সোমবার বৈঠকে বসে ১০ দফা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। তাদের যাতায়াত ও পরিবহণের জন্য একটি হাব তৈরি করা হবে। ইইউ কমিশন সেফ হোম নীতি নেবে। তার ফলে যেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন, সেখান থেকে অন্য দেশে কিছু মানুষকে নিয়ে যাওয়া হবে।
সহযোগিতার সিদ্ধান্ত
ইইউ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিভিন্ন দেশে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সাহায্য করা হবে। এই মানুষদের পাশে দাঁড়াবে সব দেশ। প্রতিটি দেশকে সাধ্যমতো শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বলা হয়েছে। উপরের ছবিতে ওয়ারশর একটি স্টেডিয়ামে ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। অ্যামেরিকাও ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়াবে বলে জানিয়েছে।
কোটায় আপত্তি
কোটা ব্যবস্থায় আপত্তি আছে জার্মানির। তারা চায়, ইউক্রেন থেকে আসা মানুদের বিভিন্ন দেশে ভাগ করে রাখা হোক। সব দেশ যেন ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের প্রতি সমর্থন জানায়।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, স্ট্যাটিস্টা)