1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ নেতাদের ঐক্য ফেরানোর উদ্যোগ

১ অক্টোবর ২০২০

তুরস্ক, বেলারুশ থেকে শুরু করে হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডে আইনের শাসনের মতো বিষয়ে মতবিরোধ কাটাতে মিলিত হচ্ছেন ইইউ নেতারা৷ ব্রেক্সিটের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পাবে৷

https://p.dw.com/p/3jFyH
ছবি: picture-alliance/dpa

করোনা সংকটের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা আবার সশরীরে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন৷ ব্রাসেলসে বৃহস্পতি ও শুক্রবারের শীর্ষ সম্মেলনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতপার্থক্য কাটিয়ে ঐকমত্য অর্জনের চেষ্টা চালাবেন তাঁরা৷ বিশেষ করে বেলারুশ ও তুরস্কের বিষয়ে বিরোধ এই রাষ্ট্রজোটের ঐক্যে কিছুটা ফাটল সৃষ্টি করেছে৷

আপাতত সবার নজর ক্ষুদ্র রাষ্ট্র সাইপ্রাসের দিকে৷ সে দেশের নতুন সরকার তুরস্কের সঙ্গে বিরোধের ক্ষেত্রে ইইউ-কে আরও কড়া মনোভাব দেখানোর জন্য চাপ দিচ্ছে৷ সাইপ্রাস উপকূলের কাছে পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের সূত্রের সন্ধানে অভিযান চালানোর দায়ে ইইউ স্তরে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পক্ষে সে দেশ৷ সেই উদ্যোগ সফল না হওয়ায় সাইপ্রাস তার ভেটো শক্তি কাজে লাগিয়ে বেলারুশের উপর ইইউ নিষেধাজ্ঞার পথে বাধা সৃষ্টি করছে৷ ইইউ ঐক্যে ফাটল ঘটিয়ে এমন ‘সংকীর্ণ’ মনোভাবের জন্য সাইপ্রাসের কড়া সমালোচনা করছে অনেক সদস্য রাষ্ট্র৷ উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র নীতির প্রশ্নে সব সদস্য দেশের সম্মতির ভিত্তিতে ইইউ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে৷

সাইপ্রাসের আপত্তি দূর করতে সম্মেলনে সম্ভবত তুরস্কের উদ্দেশ্যে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেওয়া হতে পারে৷ ফ্রান্সের মতো কিছু দেশ তুরস্কের প্রতি আরও কড়া মনোভাব দেখাতে চাইলেও জার্মানি এখনো সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ কাটানোর পক্ষে৷ ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাসের সন্ধানে তুরস্কের বিতর্কিত উদ্যোগের কারণে গ্রিসের সঙ্গে সে দেশের সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল৷ ফ্রান্স গ্রিসের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজন করেছিল৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বুধবার আজেরবাইজানের প্রতি তুরস্কের ‘বেপরোয়া ও বিপজ্জনক’ সমর্থনেরও সমালোচনা করেছেন৷

শুক্রবার ইইউ নেতারা ব্রেক্সিট কার্যকর হবার পর ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করবেন৷ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সর্বশেষ পরিস্থিতি যাচাই করে তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে পারেন৷

কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও ইইউ ঐক্যে ফাটল ধরছে৷ সদস্য দেশগুলির জন্য আর্থিক বরাদ্দ স্থির করার সময়ে আইনের শাসনের বিষয়টি বিবেচনার করার প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করছে হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড৷ করোনা সংকটের মাঝে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ইইউ জুলাই মাসে ৭৫,০০০ কোটি ইউরোর তহবিল স্থির করলেও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রধান ডাভিড সাসোলি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির জন্য আরও ১,০০০ কোটি ইউরো দাবি করেছেন৷ সেই অর্থ আদায় করতে না পারলে ইইউ পার্লামেন্টের সদস্যরা মূল তহবিল অনুমোদন নাও করতে পারেন৷ হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডও বাধা সৃষ্টি করতে পারে৷ অন্যদিকে বাজেট ঘাটতির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও আইনের শাসন কায়েম করার প্রশ্নে কড়া অবস্থান নিচ্ছে নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড৷ আপোশ হিসেবে জার্মানির এক প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত বিরোধ মেটাতে পারে৷ এর আওতায় একমাত্র ইইউ তহবিল ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো সদস্য দেশ আইনের শাসন প্রয়োগ না করলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)