1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসিয়া বিবিকে নাগরিকত্ব দিচ্ছে ফ্রান্স

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পাকিস্তানে ব্লাসফেমির অভিযোগে প্রায় দশ বছর মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি থাকা আসিয়া বিবি অবশেষে ঠাঁই পাচ্ছেন ফ্রান্সে৷ দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ শুক্রবার আসিয়া ও তাঁর পরিবারকে স্বাগত জানাবেন৷

https://p.dw.com/p/3YOEh
Asia Bibi
ছবি: Getty Images/AFP/N. Tucat

প্রাথমিকভাবে মাক্রোঁর সূচিতে বিষয়টি ছিল না৷ কিন্তু সোমবার আসিয়া বিবি ফ্রান্সে আশ্রয় নেবার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর সেদিন সন্ধ্যায়ই প্রেসিডেন্টের অফিস তাঁকে গ্রহণ করার ঘোষণা দেয়৷

সোমবার জার্মান রেডিও নেটওয়ার্ক আরটিএলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আসিয়া ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবার আগ্রহের কথা জানান৷

‘‘ফ্রান্সে থেকে যাওয়ার খুব ইচ্ছা আমার,'' আরটিএলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন আসিয়া৷ সম্প্রতি ফ্রেঞ্চ ভাষায় ‘অঁ ফাঁ লিবা' (অবশেষে মুক্ত)  নামে তাঁকে নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে৷ এর ইংরেজি ভার্সনটি প্রকাশিত হবে সেপ্টেম্বরে৷ আসিয়ার অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে যাওয়া ফ্রেঞ্চ সাংবাদিক অ্যান-ইজাবেল তোলে এই বইয়ের একজন লেখক৷

‘‘ফ্রান্স আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে...অ্যানে-ইজাবেল আমার কাছে ফেরেশতার মতো,'' আসিয়া বলেন৷

২০১৪ সালেই আসিয়াকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয় ফ্রান্স৷ তখন তিনি কারাগারে ছিলেন৷ মঙ্গলবার সেই প্রত্যয়নপত্রটি আসিয়ার হাতে তুলে  দেয়ার কথা প্যারিসের মেয়র অ্যান হিদালগোর৷

Pakistan Demonstration für Hinrichtung Asia Bibi
২০১৮ সালে আসিয়া বিবির মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করার প্রতিবাদে পাকিস্তানে বিক্ষোভছবি: Getty Images/AFP/A. Qureshi

২০১৮ সালে তিনি ও তাঁর পরিবার ক্যানাডায় পালিয়ে যাবার পর এটিই আসিয়ার প্রথম ফ্রান্স সফর৷ সাক্ষাৎকারে ক্যানাডাকেও ধন্যবাদ জানান তিনি৷ আসিয়া বলেন, পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনে আটক অন্যদের মুক্ত করতে তিনি সাংবাদিক তোলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চান৷

২০০৯ সালে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আসিয়া বিবি মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্য মজুরদের সঙ্গে ক্ষেতে কাজ করছিলেন৷ এ সময় পানি নিয়ে বিতণ্ডা দেখা দিলে এক পর্যায়ে একজন মুসলিম নারী স্থানীয় এক ইমামের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন যে, আসিয়া নবী মোহাম্মদকে অবমাননা করেছেন৷

এরপর বিষয়টি পাঞ্জাবের আদালতে গড়ালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়া হয়৷ আসিয়া আপীল করলে ২০১৮ সালে সুপ্রিমকোর্ট তাঁকে মুক্তি দেন৷ কিন্তু কট্টরবাদীদের প্রতিবাদের কারণে তাঁর জীবনের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দেয়ায় তিনি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছিলেন না৷ পরে ২০১৯ সালের মে মাসে তিনি ক্যানাডায় পাড়ি জমান

জেডএ/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

 

২০১৮ সালে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের আগে করা ছবিঘরটি দেখুন: