1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মদ্যপানে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

শনিবার দুপুর পর্যন্ত ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্য আসামে বিষাক্ত মদ পান করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯ জনে৷ আরো অন্তত দেড়শ' জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/3DxPj
Symbolbild |  Selbstgebrannter Schnaps verursacht mind. 70 Tote in Indien
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/P. Adhikary

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ডিপিএ এ তথ্য জানিয়েছে৷

ভারতে অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর অন্যতম ভয়াবহ এই ঘটনার শুরু বৃহস্পতিবার৷ সে রাতেই অসুস্থ হয়ে পরদিন শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২২ জন মারা যান৷ এরপর শনিবার দুপুর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে৷

‘‘জোরহাট ও গোলাঘাটে ৮৯ জন মারা গেছেন৷ এদের বেশিরভাগই সেখানকার চা বাগানের কর্মী,'' টেলিফোনে ডিপিএ'কে জানান আসামের হোম কমিশনার আশুতোষ অগ্নিহোত্রি৷

তবে ভারতের আঞ্চলিক কোনো কোনো গণমাধ্যম বলছে, মৃতের সংখ্যা এরইমধ্যে একশ' ছাড়িয়েছে৷ তা দেড়শ' পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে৷

ডিপিএ'কে আশুতোষ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি দেড়শ' জনের অনেকেই এখন ‘সংকটমুক্ত'৷ তবে ঠিক কতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক তা পরিষ্কার বলতে পারেননি তিনি৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তে বলে তিনিও আশঙ্কা করছেন৷

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীরা যে মদ পান করেছেন, তাতে মিথানল (মিথাইল অ্যালকোহল) ছিল, যা বেশি পরিমাণে পান করলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে৷

গোলাঘাটের পুলিশ কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম সাইকিয়া জানিয়েছেন যে, একটি স্থানীয় মদ তৈরির কারখানার মালিকসহ মদ প্রস্তুতের সঙ্গে যুক্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে৷

রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা জোরহাটের হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন৷ ‘‘এই ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি দেয়া হবে,'' সাংবাদিকদের বলেন তিনি৷

সরকারি হিসেবে, অবৈধভাবে প্রস্তুতকৃত মদ পান করে বছরে ভারতে গড়ে এক হাজার মানুষ মারা যান৷ এই মদ খুবই নিম্নমানের৷ এতে শিল্পে উৎপাদনে ব্যবহৃত অ্যালকোহল ও বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়৷ তাই প্রায়ই মদ্যপানে মৃত্যুর খবর শোনা যায়৷

এর আগে ১৯৯২ সালে ওড়িশা রাজ্যে এমন এক ঘটনায় দু'শ জন মারা যান৷ ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে মারা যান ১৮০ জন৷ এমনকি মাত্র দু'সপ্তাহ আগে উত্তর প্রদেশে একশ'রও বেশি মানুষ মারা গেছেন৷

জেডএ/এডিকে (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য