1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আশা জাগিয়েও ব্যর্থ সাকিববাহিনী

২২ ডিসেম্বর ২০১৮

লিটন দাসের ব্যাটে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ৷ প্রথমবারের মতো তিন সংস্করণের সিরিজেই কোনো দলকে হারানোর রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছিলো৷ কিন্তু ব্যাটসম্যানদের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ ৫০ রানে হারলো টাইগাররা৷

https://p.dw.com/p/3AXTp
Twnty20 Cricket - West Indies gegen Bangladesh
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman

১৯১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই তামিম ইকবালকে হারায় বাংলাদেশ৷ দলের তখন ২২ রান৷

চতুর্থ ওভারে ওশান টমাসের বলে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ দুটি ভুল নো-বল ডাকায় বাঁধে বিপত্তি৷ প্রথম নো-বলের ফ্রি হিটে ছক্কা মেরে দলের স্কোর পঞ্চাশে নিয়ে যান লিটন৷ কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি আইনসম্মতই ছিল৷

পরে লিটনের উঁচু করে মারা শট টাইমিং না হওয়ায় সোজা ফিল্ডারের হাতে৷ কিন্তু এবারও নো-বল ডাকেন আম্পায়ার৷ তবে এবার ক্যারিবীয় ক্যাপ্টেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট রিভিউয়ের আবেদন জানান৷

তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লেতে দেখে বল আইনসম্মত বলে রায় দিলে ফিল্ড আম্পায়ার আউটের সংকেত দেন৷ কিন্তু এবার বেঁকে বসেন লিটন৷ এরই মধ্যে মাঠের দুই রেফারির সঙ্গে জড়ো হন থার্ড আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারিও৷ ড্রেসিং রুম থেকে সাকিবও এসে যোগ দেন আলোচনায়৷ আট মিনিটের মতো বন্ধ থাকে খেলা৷

পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, ক্রিকেটে নো-বলে রিভিউ নেয়ার কোনো নিয়ম নেই বলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল হলেও সেটিই মানতে হবে উইন্ডিজকে৷ ফলে আপাতত বেঁচে যান লিটন৷ ফ্রি হিটে এবার ছক্কা হাঁকান সৌম্য৷
কিন্তু এরপর থেকে খেই হারাতে থাকেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা৷ পঞ্চম ওভারে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের পরপর দুই বলে ফিরলেন সৌম্য এবং সাকিব৷

এরপর কিমো পলের বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে ব্যাটসম্যানদের হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ৷ ষষ্ঠ ওভারে মুশফিক, অষ্টম ওভারে মাহমুদুল্লাহ, দশম ওভারে লিটন ও আরিফুলের উইকেট তুলে নেন কিমো পল৷

ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে চার ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই ক্যারিবীয় বোলার৷
শেষ দিকে মিরাজকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আবু হায়দার রনি৷ তবে এতে বাংলাদেশের ইনিংস কিছুটা দীর্ঘ হলেও ফেরেনি ম্যাচের ভাগ্য৷

এর আগে, সিরিজে প্রথমবারের মতো টসে জিতে বোলিং নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান৷ সন্ধ্যার পর শিশিরের মধ্যে বোলিংয়ের চাপ এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত তাঁর৷

কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আগের দুই ম্যাচের একাদশ নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা৷ অন্যদিকে ড্যারেন ব্রাভোর বদলে ২০ বছর বয়সি ব্যাটিং অলরাউন্ডার শেরফান রাদারফোর্ডকে দলে নিয়ে মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷

শুরুতেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা৷ বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের এক ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান এভিন লুইস৷ ৩.১ ওভার, অর্থাৎ মাত্র ১৯ বলেই পঞ্চাশে পৌঁছায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷

ব্যক্তিগত ৪৮ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লুইসের ক্যাচ হাতছাড়া করেন আবু হায়দার৷ পরের ওভারেই মাত্র ১৮ বলে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন লুইস৷

মাত্র পাঁচ ওভারে বিনা উইকেটে ৭০ রানের বেশি ক্যারিবীয়দের স্কোরবোর্ডে৷ তখন মনে হচ্ছিল, ২০০ তো বটেই, স্কোর হয়তো আড়াইশও ছাড়িয়ে যাবে৷ কিন্তু, উইন্ডিজের সে স্বপ্নে প্রথম আঘাত সাকিব আল হাসানের৷ স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শেই হোপ৷

এরপর মুস্তাফিজুর রহমান দ্রুতই কিমো পলকে ফেরালেও কমছিল না রানের গতি৷ ৭.১ ওভার, অর্থাৎ মোকের ৪৩ বলে তিন অঙ্কে পৌছে যায় উইন্ডিজ৷ ৮ ওভার শেষেও বিধ্বংসী লুইস ব্যাট করছিলেন ৭৬ রানে৷

তবে এরপর শুরু হয় মাহমুদউল্লাহ ঝড়৷ লুইস তাঁর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে ৩৬ বলে ৮ ছক্কা ও ৬ চারে করেন ৮৯ রান৷ এরপরের বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শিমরন হেটমায়ারকে৷ ব্যর্থ হয় রিভিউও৷

নিজের তৃতীয় ও দলের ১৪তম ওভারে আবার মাহমুদউল্লাহর আঘাত৷ তাঁর এবারের শিকার রভম্যান পাওয়েল৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ১৫৯ রানে৷

এরপরই মূলত মুখ থুবড়ে পড়ে ক্যারিবীয় লাইনআপ৷ শুরুতে ঝড় তুলেও শেষ পাঁচ উইকেট তাঁরা হারায় মাত্র ১৪ রানে৷ মুস্তাফিজ-সাকিব-মাহমুদউল্লাহ ত্রয়ীর নৈপুণ্যে ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা৷ তিনজনই নিয়েছেন তিন উইকেট করে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য