আলবেনিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ২৯
আলবেনিয়ায় ভূমিকম্পে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা৷ দেশটিতে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৯ ব্যক্তি৷
খুব সকালে ভূমিকম্প
আলবেনিয়ায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর চারটার কিছু আগে ভূমিকম্প আঘাত হানে৷ সেই সময় ঘুম ভাঙা মানুষরা আশপাশের ভবন ধসে পড়তে দেখেছেন৷ এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৯ ব্যক্তি৷
অনেক ভবন ধসে গেছে
থুমানে এবং ডুরেস শহরে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ভেঙে পড়লে অনেক মানুষ ভবনের নীচে আটকা পড়েন৷ক্যুর্বিন শহরে ভূমিকম্পের সময় জানালা দিয়ে লাফিয়ে বাঁচতে গিয়ে প্রাণ হারান এক নারী৷
উদ্ধার তৎপরতা
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে৷ তবে, আরো ভবন ধসে পড়তে পারে এ আশঙ্কায় উদ্ধারকাজ প্রত্যাশামতো দ্রুত এগোনো যাচ্ছে না৷
কসভোর সহায়তা
প্রতিবেশী দেশ কসভোতেও অনেক আলবেনীয় রয়েছেন৷ ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধারে সেই দেশও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷ এছাড়া অন্যান্য বলকান দেশগুলো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও উদ্ধারকর্মী এবং সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে৷
অনেক আহত
ভূমিকম্পে অন্তত ২৯ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন৷ এছাড়া আহত হয়েছেন কয়েকশত মানুষ৷ তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ পাশাপাশি যারা ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করেছে আলবেনিয়ার সামরিক বাহিনী৷
আলবেনিয়ার বাইরেও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনা শুধু আলবেনিয়াতেই ঘটেছে৷ তবে, বলকান উপদ্বীপের আরো কয়েকটি দেশ থেকেও ভূকম্পন টের পাওয়া গেছে৷
সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প
আলবেনিয়ায় গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক চার৷ ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনগুলোর ছবি দেখে মনে হচ্ছে, এটি ১৯৭৯ সালের ভূমিকম্পের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল৷ সেই সময় দেশটির উত্তরের একটি শহর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷