আলবিদা কেকে
গাইতে গাইতেই চলে গেলেন বলিউডের বিশিষ্ট গায়ক কৃষ্ণকুমার কুনাথ। সকলে তাকে কেকে বলে চিনতেন। কলকাতায় অনুষ্ঠান করার পর মৃত্যু হয় তার।
গানের জাদুকর
মঙ্গলবার মুম্বই থেকে কলকাতায় এসেছিলেন কেকে। মঙ্গলবার রাতে একটি কলেজের ফেস্ট উপলক্ষে নজরুল মঞ্চে তার অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানের পরেই মৃত্যু হয় তার।
কীভাবে মৃত্যু
অনুষ্ঠানমঞ্চে দৃশ্যত ঘামছিলেন তিনি। একবার আয়োজকদের ডেকে এসি বাড়ানোর অনুরোধ করেন, বড় আলোগুলো নিভিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন। এরপর হোটেলে গিয়ে পড়ে যান। মাথায় চোট পান।
অনুষ্ঠানের পর
অনুষ্ঠান শেষ করেই নিউ মার্কেট অঞ্চলে একটি পাঁচতারা হোটেলে ফিরে যান কেকে। সেখানে অসুস্থ বোধ করায় তাকে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।
কী করে মৃত্যু
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার।
অনেকের অভিযোগ
সমাজ মাধ্যমে অভিযোগ উঠছে, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চের শীতাতপ যন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছিল না। প্রেক্ষাগৃহে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি দর্শক হাজির হয়েছিলেন। ফলে প্রেক্ষাগৃহে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল। যদিও আয়োজকরা এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ভালোবাসার কেকে
মাত্র ৫৩ বছর বয়সে চলে গেলেন কেকে। তা-ও গান গাইতে গাইতে। বেঁচে থাকলে বুধবার কলকাতায় তার আরো একটি অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে বলিউড। গায়ক থেকে অভিনেতা টুইট করেছেন প্রায় সকলেই। টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেকে-র গান
কেকে-র গানের অনুরাগী কয়েক প্রজন্ম। তার ইয়ারোঁ, তাড়াপ তাড়াপ কে ইস দিল-এর মতো গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। একুশ শতকে বলিউডের অন্যতম প্লেব্যাক গায়ক ছিলেন কেকে। শুধুমাত্র প্লেব্যাকেই গেয়েছেন সাতশ-র উপর গান।