আর্মেনিয়ায় তীব্র সরকারবিরোধী বিক্ষোভ
৭ ডিসেম্বর ২০২০পদত্যাগ করুন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনয়ান। এই দাবিতে শনিবার এবং রোববার লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশ চলল আর্মেনিয়ার রাজধানী শহরে। প্রায় ২০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনও ঘিরে ফেলেছিলেন তাঁরা। পাশিনয়ান অবশ্য পদত্যাগের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, আপাতত ক্ষমতা ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না।
সম্প্রতি নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে প্রায় ছয় সপ্তাহ যুদ্ধ চলেছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের। যুদ্ধে নাগর্নো-কারাবাখের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি পুনর্দখল করে আজারবাইজান। গত কয়েক দশক যা আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর হাতে ছিল। আজারবাইজানের মধ্যে থেকেও তারা নিজেদের স্বাধীন সরকার তৈরি করেছিল আর্মেনিয়ার মদতে। ছয় সপ্তাহের যুদ্ধে প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার হস্তক্ষেপে তিন দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। যার জেরে নাগর্নো-কারাবাখের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল আজারবাইজানের হাতে যায়। সেই অঞ্চল ফাঁকা করে দিতে হয়েছে আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীকে। এর পরেই আর্মেনিয়ায় প্রধানন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বলা হয়, চুক্তিতে সই করে আর্মেনিয়া আপস করেছে। এতে আজরবাইজানের লাভ এবং আর্মেনিয়ার ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও সে কথা স্বীকার করেছেন।
শনি এবং রোববার প্রায় ২০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, আজারবাইজানের হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পূণ্যভূমিও তুলে দিয়েছে আর্মেনিয়া। ওই সমস্ত অঞ্চলে আর্মেনিয়ার মানুষ নিয়মিত তীর্থে যেতেন। রাশিয়া অবশ্য আগেই আজারবাইজানকে বলেছিল, কোনো চার্চ বা ধর্মস্থান ধ্বংস করা যাবে না।
আর্মেনিয়ার সরকার বিরোধীরাও এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য রোববারেও জানিয়েছেন, পদত্যাগের আপাতত কোনো প্রশ্ন নেই।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)