1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করল তুরস্ক?

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

রোববার বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার তাতে তুরস্ক অংশ নিয়েছে বলে আর্মেনিয়ার অভিযোগ।

https://p.dw.com/p/3jBvY
ছবি: Defence Ministry of Armenia/Reuters

তুরস্ক তাদের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। নিহত হয়েছেন পাইলট। আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধে এ বার সরাসরি তুরস্কের দিকে আঙুল তুলল আর্মেনিয়া। তুরস্ক অবশ্য তাদের এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। তুরস্ক এবং আজারবাইজান দুই তরফই জানিয়েছে, সস্তা প্রোপাগান্ডার জন্যই এ ভাবে তুরস্ককে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছে আর্মেনিয়া। অন্য দিকে সোমবারের পরে মঙ্গলবারও যুদ্ধ অব্যাহত প্রতিবেশী দুই দেশের। অভিযোগ, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের একটি সীমান্ত অঞ্চলে শেলিং করেছে। অন্য দিকে আজারবাইজানও আর্মেনিয়ার একটি অঞ্চলে গুলি চালিয়েছে এবং বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের শিকার হয়েছেন ১২ জন সাধারণ মানুষ। আহত ৩৫।

সোমবারই আর্মেনিয়া অভিযোগ করেছিল, তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানকে যুদ্ধে সাহায্য করছে। তুরস্ক পাল্টা উত্তর দিয়ে বলেছিল, বিতর্কিত অঞ্চল আজারবাইজানের। আর্মেনিয়া বেআইনি তা দখল করে রেখেছে। মঙ্গলবার ফের তুরস্কের দিকে আঙুল তুলল আর্মেনিয়া। অভিযোগ, আর্মেনিয়া বায়ুসেনার একটি এসইউ২৫ যুদ্ধবিমান তুরস্ক ধ্বংস করেছে। তুরস্কের এফ ১৬ যুদ্ধবিমান আকাশেই আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ। বিবৃতি দিয়ে আর্মেনিয়ার সরকার এ খবর জানিয়েছে। বলা হয়েছে, ঘটনায় যুদ্ধবিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন।

তুরস্ক অবশ্য আর্মেনিয়ার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তুরস্ক এই যুদ্ধে অংশ নেয়নি। ফলে আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার প্রশ্নই ওঠে না। এটা একান্তই আর্মেনিয়ার মিথ্যা প্রোপাগান্ডা। বস্তুত আজারবাইজানও আর্মেনিয়ার দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। তারাও তুরস্কের মতোই বলেছে, আর্মেনিয়া মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে বিশ্বের নজর কাড়তে চাইছে। তুরস্ক অবশ্য এ দিনও জানিয়েছে, বিতর্কিত অঞ্চল বেআইনি ভাবে আর্মেনিয়া দখল করে রেখেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশ, রাশিয়া, চীন সকলেই আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সাম্প্রতিক যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু যুযুধান দুইপক্ষ এখনও পর্যন্ত তাতে কান দেয়নি। আর্মেনিয়া মঙ্গলবারও দাবি করেছে, আজারবাইজান দীর্ঘদিন ধরেই এই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা চাইছিল যুদ্ধ হোক। আজারবাইজান গত কয়েক বছর ধরে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধের সরঞ্জাম কিনেছে। ড্রোনের সাহায্যে সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতিও তারা আগেই নিয়েছে।

মঙ্গলবার আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে সীমান্তে দাসকেশান অঞ্চলে শেলিং করেছে আর্মেনিয়ার সেনা। অন্য দিকে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে সীমান্তে ভারদেনি অঞ্চলে গুলি চালিয়েছে আজারবাইজানের সেনা। একটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে একজন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

গত দুই দিনে সাধারণ মানুষের নিহত হওয়ার সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। এ ভাবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকলে আরও মানুষের মৃত্যু হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)