1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্মেনিয়ার মিসাইল হামলায় নিহত ২১ আজারি নাগরিক

২৯ অক্টোবর ২০২০

যুদ্ধ থামার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুই দেশই লাগাতার আক্রমণ জারি রেখেছে। স্ট্র্যাটেজিক এলাকা দখল করেছে আজারবাইজান।

https://p.dw.com/p/3kZzi
ছবি: Aris Messinis/AFP/Getty Images

আরো তীব্র হলো নাগর্নো-কারাবাখ ঘিরে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের যুদ্ধ। বুধবার রাতে আজারবাইজান দাবি করেছে, আর্মেনিয়ার একাধিক মিসাইল হামলায় নাগর্নো-কারাবাখ সীমানায় আজারবাইজানের একটি গ্রামে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অসংখ্য। যদিও আজারবাইজানের এই দাবি অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া।

গত রোববার অ্যামেরিকার মধ্যস্থতায় তৃতীয়বার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল যুযুধান দুই রাষ্ট্র। এর আগে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুইবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা সফল হয়নি। রোববার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুইটি দেশ। আজারবাইজানের অভিযোগ আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে প্রথম আক্রমণ চালায়। আর্মেনিয়াও আজারবাইজানের বিরুদ্ধে পাল্টা একই অভিযোগ করে।

বুধবার রাতের দিকে আজারবাইজান সরকারের মুখপাত্র দাবি করেন, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের বিভিন্ন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা লক্ষ্য করে লাগাতার মিসাইল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই জেরে নাগর্নো-কারাবাখের কাছে একটি অঞ্চলে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। আর্মেনিয়া অবশ্য আজারবাইজানের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, আজারবাইজানের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালানো হয়নি। বস্তুত, এর আগেও আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছিল। আজারবাইজান জানিয়েছিল, তাদের একাধিক শহর লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে আর্মেনিয়া। আর্মেনিয়া সে কথাও অস্বীকার করেছিল। কিন্তু সংবাদকর্মীদের লেন্সে উঠে এসেছিল গ্যাঞ্জা সহ আজারবাইজানের একাধিক শহরের ভয়াবহতার দৃশ্য।

এ দিন আর্মেনিয়াও আজারবাইজানের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে। তাদের বক্তব্য, নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় মিসাইল আক্রমণ চালিয়েছে আজারবাইজান। তবে আর্মেনিয়ার তরফে হতাহতের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি।

এ দিকে আর্মেনিয়ার একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনয়ান বলেছেন, রাশিয়ার বর্ডার গার্ড আর্মেনিয়ার সীমান্তে পৌঁছেছে। রাশিয়ার সঙ্গে আর্মেনিয়ার সামরিক চুক্তি রয়েছে। যার জেরে রাশিয়া আর্মেনিয়াকে প্রতিরক্ষা সুরক্ষা দিতে দায়বদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এর আগে ইরান এবং তুরস্কের সীমান্তে আগেই রাশিয়ার বর্ডার গার্ড ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজারবাইজান সীমান্তেও তারা পৌঁছে গিয়েছে। তা হলে কি রাশিয়া এ বার সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে? এ বিষয়ে আলোকপাত করেননি আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তবে গত সপ্তাহে রাশিয়া জানিয়েছিল, এই যুদ্ধে কোনো পক্ষকেই সমর্থন করছে না তারা।

আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বুধবার বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ইরান সীমান্তে নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের স্ট্র্যাটেজিক শহর গুবাডলি দখলে নিয়েছে আজারবাইজানের সেনা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই যুদ্ধে গুবাডলি দখলে নেওয়া আজারবাইজানের পক্ষে বড় জয়। যদিও আজারবাইজানের বক্তব্য, নাগর্নো-কারাবাখ তাদেরই ভূখণ্ড। আর্মেনিয়া অন্যায় ভাবে তা দখল করার চেষ্টা করছে। অন্য দিকে, আর্মেনিয়ার অভিযোগ, নাগর্নো-কারাবাখে অন্যায় ভাবে আর্মেনীয় মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে আজারবাইজান।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)