আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধের ছবি
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চলছে যুদ্ধ৷ মৃত্যু হয়েছে কয়েকশ মানুষের৷ অন্য কোন দেশ কারো পক্ষে সরাসরি অবস্থান না নিলেও, এই যুদ্ধে তুরস্ক আজারবাইজানকে ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ আর্মেনিয়ার।
সংঘাতের কারণ
দুই দেশের সীমান্তে ককেশাস পর্বতে বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখের দখল নিয়ে সংঘাত শুরু হয়েছে। আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুইটি দেশই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। সোভিয়েতের পতনের পর দু'টি দেশ আলাদা হয়ে যায়। তখন থেকেই নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে তাদের মধ্যে বিতর্ক।
কারাবাখের অবস্থান
দুই দেশের সীমান্তে নাগর্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার মানুষ থাকেন। তবে এলাকাটি স্বাধীন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে। তাদের নিজস্ব প্রশাসনও আছে। আর্মেনিয়ার যথেষ্ট প্রভাব আছে ওই অঞ্চলে। আজারবাইজানের দাবি, এলাকাটি তাদের ভূখণ্ডের অংশ।
আজারবাইজানের বক্তব্য
আজারবাইজানের দাবি, ওই এলাকা বেআইনিভাবে আর্মেনিয়া দখলে রেখেছে। আজারবাইজান জানিয়েছে, এলাকাটি দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
আর্মেনিয়ার বক্তব্য
আর্মেনিয়ার বক্তব্য আজারবাইজান জোর করে নাগর্নো-কারবাখের দখল নিতে চাইছে। ওই অঞ্চলে আর্মেনীয় মানুষ বাস করেন। ফলে কোনোভাবেই তা আজারবাইজানের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। তারাও যুদ্ধ থামাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
তুরস্কের অবস্থান
আর্মেনিয়ার বক্তব্য, তুরস্ক যুদ্ধে আজারবাইজানকে সাহায্য করছে। তুরস্কের যুদ্ধবিমান আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করেছে বলেও অভিযোগ। তুরস্ক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে তারা যে আজারবাইজানের পক্ষে, তুরস্ক সে কথা জানিয়ে দিয়েছে।
মৃত্যু হচ্ছে কাদের
দুই দেশের এই যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করছেন সামরিক-বেসামরিক নাগরিক। শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷ এর মধ্যে ৩০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক৷ অন্যদিকে কারাবাখের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকার’ তাদের ৫৪ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলে শুক্রবার দাবি করেছে৷
বিশ্বের অবস্থান
যুদ্ধ বন্ধের আর্জি জানিয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়া, অ্যামেরিকা, ফ্রান্স যৌথ বিবৃতি পেশ করেছে।