‘আমরা জার্মানি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী’ | পাঠক ভাবনা | DW | 13.08.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘আমরা জার্মানি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী’

এমএ বারিক, বগুড়া, বাংলাদেশ থেকে লিখেছন, ‘‘আমরা যারা ডয়চে ভেলের নিয়মিত পাঠক তারা সবাই কিন্তু খবরের পাশাপাশি জার্মানি সম্পর্কেও জানতে আগ্রহী৷ আর তাই ডয়চে ভেলে জার্মানদের সম্পর্কে পাঠকদের নানা বিষয় জানিয়ে আসছে৷’’

পাঠক বারিক তাঁর লম্বা ই-মেলে আরো লিখেছেন, ‘‘আজ ডয়চে ভেলের একটি প্রতিবেদনে ‘জার্মানদের ভদ্রতা জ্ঞান' সম্পর্কিত ছবিঘর থেকে আমারা অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম, যা আমার কাছে ভালো লেগেছে৷ জার্মানরা বাঙালিদের মতো এত রান্নাবান্না না করলেও খেতে, খাওয়াতে এবং হৈচৈ করতে ভালোবাসেন৷ তবে তাঁদের দাওয়াতটা হয় কিছুটা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে৷''

‘‘এ সব তথ্যের পাশাপাশি পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত ডিএনএ নিয়ে আরেকটি প্রতিবেদনও আমার ভালো লাগলো৷ ডিএনএ কিন্তু সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রেই ডিএনএ-র ব্যবহার রয়েছে৷ ডিএনএ পরীক্ষা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েরও সমাধান হচ্ছে৷ আপনাদের এই প্রতিবেদন পড়ে আমার ইন্ডিয়ার একটি মুভির কথা মনে হলো৷ মুভিটির নাম রোবট৷ অনেক পাঠক দেখেছে মনে হয়৷ যাই হোক, মুভিটিতে একটি কারখানায় আগুন লাগায় রোবট এসে সবার প্রাণ বাঁচিয়েছিল৷ হয়ত একদিন সত্যিই রোবট হাজারো মানুষের প্রাণ বাঁচাবে৷ তৈরি পোশাক কারখানা সহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো প্রায়ই ঘটে৷ আগুন নেভাতে ছুটে যান দমকল বাহিনীর কর্মীরা৷ ভবিষ্যতে হয়ত তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবে রোবট৷ বাংলাদেশে এ ধরনের রোবট তৈরির কাজ চলছে....শুনে ভালো লাগলো৷ এমএ বারিক, ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া৷''

পরের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন বন্ধু সোহেল রানা৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বর্তমান সময়কে বলা হয়ে থাকে তথ্য-প্রযুক্তির সর্ব শ্রেষ্ঠ সময়৷ কিন্তু আমার তা মনে হচ্ছে না৷ সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনা/দুর্ঘটনা আমাদের সেই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে৷ কিসের তথ্য প্রযুক্তি? যে সময়ে একটি জলজ্যান্ত উড়ন্ত বিমান গায়েব হয়ে যায়, নদীতে লঞ্চ ডুবে গেলে সেটাকে আর চিহ্নিত করা যায় না – এই সময়কে তথ্য প্রযুক্তি যুগের শ্রেষ্ঠ সময় বলে মেনে নেয়াটা কষ্টকর৷ দেখছি, শুনছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না৷ এটা কোনো কথা হলো!''

‘‘সম্প্রতি বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে একটি লঞ্চডুবিতে কত লোক মারা গেল তারও কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না৷ সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে নদীর পানি আর প্রকৃতি৷ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারেও মেলাতে পারেনি ডুবন্ত লঞ্চের কোনো সন্ধান৷ মেলেনি লাশের সঠিক হিসেব৷ উদ্ধার অভিযান শেষ, এখন স্বজনরা নিজের ডিঙি নৌকা আর কপ্পা নিয়ে নদীতে নেমে পড়েছে৷ কি আর করা...নিকটজনের লাশটি যদি অবশেষে পাওয়া যায় তাতেও তো শান্তনা৷ আমরা আশা করবো স্বজনহারারা তাদের প্রিয়জনের লাশটির সন্ধান পাক, সেটা যেভাবেই হোক৷ হোক কপ্পা বা জালে৷ এ থেকে আমরা কি বুঝলাম, ‘মরলে মর, নিজেদের লাশ নিজেরা খুঁজে নে'৷ দেশের মন্ত্রী, সরকার প্রধান – কারোরই যেন কোনো দায় নেই৷ আমরা কি এতটাই অসহায়ত্বের স্বীকার? সর্বশেষ খবরগুলো আমাদের জানানোর জন্য ধন্যবাদ ডয়চে ভেলেকে৷ মো.সোহেল রানা হৃদয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা৷''

শাহিনূর আলমের অভিযোগ, তাঁর ই-মেল নাকি আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় না৷ তিনি লিখেছেন ঠিক এভাবে, ‘‘একটা বিষয় খেয়াল করলাম যে আমার ই-মেল প্রকাশ করা হয় না, কেন? আমার ওপর কি আপনাদের কোনো অভিমান আছে? আপনাদের ওয়েবসাইট দেখে তাঁর উপর মতামত জানিয়ে ই-মেল করলাম৷ তাও তা প্রকাশ করলেন না৷ এই কারণে আমি উৎসাহ হারিয়ে ফেলি৷ আমার যদি কোনো ভুল থেকে থাকে তবে আমাকে ক্ষমা করে আবার আপনাদের পরিবারে স্থান দেবেন৷ নিজেকে খুব বড় দোষী মনে হচ্ছে৷ ভালো থাকবেন৷ শাহিনুর আলম, বগুড়া৷''

- আমরা আজকাল খুব বেশি মতামত পাইনা ই-মেলে৷ তারপরও যা আসে মোটামুটি তার সবগুলোই ওয়েবসাইটে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি৷ ধন্যবাদ সবাইকে, এভাবেই সাথে থাকবেন বন্ধুরা, কেমন?

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন