আবায়া না পরা দুই সৌদি তরুণী
কালো রংয়ের ঢিলেঢালা পোশাকের নাম আবায়া৷ সৌদি আরবে নারীদের এই পোশাক পরা বাধ্যতামূলক৷ তবে এই নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করছেন কয়েকজন৷
পোশাকের নাম আবায়া
পুরো শরীর ঢাকা এই পোশাকের নাম আবায়া৷ এর রং সাধারণত কালো হয়ে থাকে৷ সৌদি আরবে নারীদের এই পোশাক পরা বাধ্যতামূলক৷
ধর্মীয় পুলিশ
বাইরে বের হওয়া সৌদি নারীরা এই পোশাক পরছেন কিনা তা দেখাশোনার জন্য একসময় ধর্মীয় পুলিশ ছিল৷ তবে এখন আর তারা নেই৷
পরিবর্তনের আভাস
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গতবছর মার্কিন সিবিএস চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়েদের পোশাক পরার আইন শিথিল করার আভাস দিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ইসলাম ধর্মে এই পোশাক বাধ্যতামূলক করা হয়নি৷ তিনি বলেছিলেন, মেয়েরা ‘শোভন ও সম্মানজনক পোশাক’ পরবে বলে আশা করা হয়৷ এবং সেটা যে আবায়া হতে হবে এমন নয়৷
তবুও ভয়
ক্রাউন প্রিন্সের বক্তব্যের পর আনুষ্ঠানিক কোনো ডিক্রি জারি না হওয়ায় এখনও সৌদি নারীরা আবায়া ছাড়া বের হতে সাহস করেন না৷
ব্যতিক্রম মাশায়েল আল-জালুদ
৩৩ বছর বয়সি মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ কয়েকমাস ধরে নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করছেন৷ মাঝেমধ্যে তিনি আবায়া না পরে বাইরে বের হন৷ এইসময় আশেপাশের মানুষজন তাঁকে নিয়ে কানাঘুষা শুরু করেন৷ কেউ কেউ তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কোনো তারকা, কিংবা মডেল কিনা৷
শপিং মলে ঢোকায় বাধা
জালুদ জানান, আবায়া না পরায় গত জুলাই মাসে তাঁকে রিয়াদের একটি শপিং মলে ঢুকতে দেয়া হয়নি৷ ঐ মলের নিরাপত্তাকর্মীকে ক্রাউন প্রিন্সের টেলিভিশন বক্তব্য দেখানোর পরও তিনি ঢুকতে পারেননি৷
শাস্তি দাবি
টুইটারে আপলোড করা এক ভিডিওতে এই ঘটনাটি জানিয়েছিলেন জালুদ৷ এরপর এক টুইটে ঐ মল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে, তারা ‘নৈতিকতা ভঙ্গকারীদের’ ঢুকতে দিতে পারে না৷ সৌদি পরিবারের এক সদস্যও সেই সময় জালুদের শাস্তি দাবি করেছিলেন৷
অফিসে আবায়া
শপিং মল কিংবা সুপারমার্কেটে আবায়া পরে বের হলেও অফিসে যাওয়ার সময় আবায়া ও হেডস্কার্ফ পরেন জালুদ৷ চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে তাঁকে এই পোশাক পরতে হয় বলে জানান তিনি৷
জালুদের আরেক সঙ্গী
জালুদ ছাড়াও ২৫ বছরের অ্যাক্টিভিস্ট মানাহেল আল-ওতাইবি গত চার মাস ধরে আবায়া ছাড়া ঘোরাফেরা শুরু করেছেন৷ ‘‘আমি যেভাবে চাই সেভাবে জীবনযাপন করতে চাই৷ আমি যা পরতে চাই না, তা পরতে আমাকে বাধ্য করা উচিত নয়,’’ এএফপিকে বলেন তিনি৷