1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার স্বাধীনতা সংগ্রামের পথে কাটালুনিয়া?

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রোববার স্পেনের কাটালুনিয়া প্রদেশের আঞ্চলিক নির্বাচনে বিচ্ছি্ন্নতাবাদী দলগুলির পাল্লাভারী৷ ফলে স্বাধীনতার দাবিতে মাদ্রিদের সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে৷ জোট সরকার গঠনে জটিলতার সম্ভাবনা রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3pMP4
কাটালুনিয়ায় ভোট
কাটালুনিয়ার নির্বাচনে বিচ্ছি্ন্নতাবাদী দলগুলি ৭৩ থেকে ৮০টি আসন পেতে পারেছবি: Albert Gea/REUTERS

স্পেন থেকে কাটালুনিয়া প্রদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক পথে চাপ আরও বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে বিচ্ছি্ন্নতাবাদী দলগুলি৷ রবিবারের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর আঞ্চলিক পার্লামেন্টে তারা শেষ পর্যন্ত ৭৩ থেকে ৮০টি আসন পেতে পারে৷ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা জন্য ৬৮টি আসনের প্রয়োজন৷ সে ক্ষেত্রে স্বাধীনতার পক্ষে প্রস্তাব পাস করাতে এই শিবিরের পথে কার্যত কোনো বাধা থাকবে না৷

নির্বাচনে এমন সাফল্য সত্ত্বেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সামনে কিছু বড় সমস্যা থেকে যাচ্ছে৷ প্রথমত মাদ্রিদ এখনো পর্যন্ত কাটালুনিয়া প্রদেশের স্বাধীনতার প্রচেষ্টার ঘোর বিরোধিতা করে আসছে৷ দলমতনির্বিশেষে এই প্রশ্নে ঐক্য বজায় রয়েছে৷ তার উপর রবিবারের নির্বাচনে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে সমাজতন্ত্রী দল৷ প্রায় ২৩ শতাংশ ভোট ও সম্ভবত ৩৩টি আসন পাচ্ছে সমাজতন্ত্রীরা৷ এই দল কাটালুনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভোটারদের সমর্থন পেয়েছে৷ তবে তারা আলোচনার মাধ্যমে এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি চায়৷ স্পেনের বাকি অংশের সঙ্গে কাটালুনিয়ার আপোশের মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদের স্পৃহা দূর করার অঙ্গীকার করছে এই দল৷ দলের নেতা ও স্পেনের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদোর ইলিয়া বলেন, ‘‘আশা ভয়ের তুলনায় আরও শক্তিশালী৷’’

নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর কাটালুনিয়ার আগামী জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হবে৷ বাকি বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলির সঙ্গে বিদায়ী সরকারের প্রধান বিচ্ছিন্নতাবাদী ইআরসি দলের মতপার্থক্য সেই প্রক্রিয়া জটিল করে তুলতে পারে৷ সমাজতন্ত্রীদের মতো ইএসসি দলও শেষ পর্যন্ত ৩৩টি আসন পেয়ে যেতে পারে৷ ফেডারেল ও রাজ্য স্তরে দলীয় রাজনীতির অনেক জটিল সমীকরণ আগামী সরকার গঠনের পথে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

এমন প্রেক্ষাপটে বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনো জোট ক্ষমতায় এলে আবার একতরফাভাবে স্বাধীনতার পক্ষে গণভোট আয়োজনের চেষ্টা চালাতে পারে৷ গতবার এমন প্রচেষ্টার পর ফেডারেল সরকার সেই প্রদেশে ২০১৭ সালের শরৎকালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল৷ আন্দোলনের অনেক নেতা হয় দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন অথবা দেশদ্রোহের অভিযোগে  বিচারের পর তাদের কারাবন্দি করা হয়েছিল৷ এবার গণভোট হলে করোনা সংকটের কারণে বিপর্যস্ত মানুষ বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রতি কতটা সমর্থন দেখাবেন, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ রবিবারের নির্বাচনে মাত্র ৫৩ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন৷ ২০১৭ সালে ভোটগ্রহণের হার ছিল ৭৯ শতাংশ৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য