1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার সীমান্ত বন্ধ করছে জার্মানি

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

অস্ট্রিয়া ও চেক সীমান্তে করোনা ভাইরাসের আরো ছোঁয়াচে সংস্করণ ছড়িয়ে পড়ায় জার্মানি রবিবার থেকে কড়া নিয়ন্ত্রণ চালু করতে চলেছে৷ ইউরোপে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে আবার সতর্ক করে দিয়েছে ডাব্লিউএইচও৷

https://p.dw.com/p/3pG5n
জার্মানির সীমান্ত
ছবি: Harry Haertel/HärtelPress/imago images

করোনা সংকট মোকাবিলা করতে হলে শুধু দেশের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিলে চলবে না, বড় বিপদ আটকাতে প্রয়োজনে সীমান্ত বন্ধ করার মতো চরম সিদ্ধান্তেরও প্রয়োজন৷ গত বছর সংকটের সূচনার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশ মুক্ত সীমান্ত বন্ধ করে সমালোচনার মুখে পড়েছিল৷ এবার কোভিড ১৯-এর ছোঁয়াচে সংস্করণগুলির গতি কমাতে আবার সেই পথেই এগোতে হচ্ছে কিছু দেশকে৷ জার্মানি চেক প্রজাতন্ত্রের সীমান্ত এলাকা ও অস্ট্রিয়ার টিরোল প্রদেশ থেকে মানুষের যাতায়াত আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আগামী রবিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে৷ চেক প্রজাতন্ত্রে করোনা ভাইরাসের ছোঁয়াচে ব্রিটিশ সংস্করণ ও টিরোল প্রদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্করণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে৷ টিরোল থেকে অস্ট্রিয়ার বাকি অংশে যাতায়াতের উপরেও কড়া নিয়ন্ত্রণ চাপানো হয়েছে৷ চেক প্রজাতন্ত্রও তিনটি জেলার ক্ষেত্রে একই রকম নিয়ন্ত্রণ চালু করছে৷

স্যাক্সনি ও বাভেরিয়া রাজ্য জার্মানির ফেডারেল সরকারের উদ্দেশ্যে এই দুই অঞ্চলকে ‘ভাইরাস মিউটেশন এরিয়া' হিসেবে চিহ্নিত করে সীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছিল৷ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই দুই সীমান্তে চেকপয়েন্ট-সহ অন্যান্য কিছু ব্যবস্থা করছে৷ তবে মানুষ চলাচল বন্ধ রাখলেও বাণিজ্যিক সম্পর্কের স্বার্থে পণ্যবাহী ট্রাক বা ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ করা হবে না৷ উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই জার্মানি কিছু দেশকে ‘ভাইরাস মিউটেশন এরিয়া’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখান থেকে মানুষের আগমন কার্যত বন্ধ রেখেছে৷

এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপে করোনা সংকটের মোকাবিলার প্রচেষ্টা প্রশ্নের মুখে পড়ছে৷ প্রায় দুই মাস ধরে কড়া লকডাউন কার্যকর করে জার্মানির মতো দেশ দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটা কমাতে পারলেও সেই সাফল্য কতকাল ধরে রাখা সম্ভব, সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বৃহস্পতিবার ইউরোপে লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে৷ ডাব্লিউএইচও-র ইউরোপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হান্স ক্লুগে বলেন, সংক্রমণের হার সার্বিকভাবে কমে গেলেও কিছু এলাকায় করোনা ভাইরাসের নতুন ও আরও ছোঁয়াচে সংস্করণগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে৷ তাঁর মতে, ইউরোপের প্রায় সব দেশই এই মুহূর্তে বিপদের মুখে রয়েছে৷ টিকার আশায় অপেক্ষা ও ভ্রান্ত নিরাপত্তাবোধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে হান্স ক্লুগে মনে করছেন৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বৃহস্পতিবার সংসদের নিম্ন কক্ষে এক ভাষণে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আরো কিছুদিন ধৈর্য্য ধরার আবেদন জানিয়েছেন৷ বুধবার লকডাউনের মেয়াদ ৭ই মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, প্রয়োজন ছাড়া বাড়তি এক দিনও লকডাউন কার্যকর করা হবে না৷ সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধ করতে আপাতত এ ছাড়া কোনো উপায় নেই৷ বিপদ কাটার আগে লকডাউন তুলে নিলে কিছুদিন পর আবার নতুন করে একই পদক্ষেপ নিতে হবে বলে ম্যার্কেল সতর্ক করে দেন৷ তিনি আরো বলেন, অন্য কিছু দেশের তুলনায় জার্মানিতে টিকাদান কর্মসূচির ধীর গতির কারণে মানুষের মনে যে হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি যথেষ্ট সচেতন৷ তবে এ ক্ষেত্রেও ধৈর্য্যের আবেদন করেন তিনি৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)