1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-কিম বৈঠক?

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

উত্তর কোরিয়ার নেতার ‘উষ্ণতায় ভরা' বার্তা পেয়ে হোয়াইট হাউস দুই নেতার দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে অগ্রগতি আনার উদ্যোগ নিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/34ert
জুন মাসে সিঙ্গাপুরে কিম জং উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/Zuma/Ministry of Communications

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান৷ ‘উষ্ণতায় ভরা' এক চিঠিতে তিনি এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷ হোয়াইট হাউস তাঁর এ ইচ্ছায় ইতিবাচক সাড়া দেবার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ এবার ওয়াশিংটনেই দুই নেতার দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির করার তোড়জোড় চলছে৷

গত জুন মাসে সিঙ্গাপুরে প্রথম শীর্ষ বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি৷ শুধু পরীক্ষার স্থানটি অকেজো করে পরমাণু পরীক্ষার পথ বন্ধ রেখেছে পিয়ং ইয়ং৷ সেইসঙ্গে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও বন্ধ রেখেছে সে দেশ৷ এমনকি রবিবার রাষ্ট্রের ৭০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজেও সেই সব ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন না করে সংযমের পরিচয় দিয়েছেন কিম জং উন৷ তবে পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার অক্ষত থাকায় যে কোনো সময় সেগুলি কাজে লাগানো সম্ভব৷ প্রকাশ্যে সমালোচনা না করলেও ট্রাম্প যে উত্তর কোরিয়ার আচরণে সন্তুষ্ট নন, তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ গত মাসে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর পিয়ং ইয়ং সফর বাতিল করেছিলেন৷

কিম জং উনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন৷ আগামী সপ্তাহে তিনি আবার পিয়ং ইয়ং সফর করবেন৷ এটি হবে দুই কোরিয়ার নেতার মধ্যে তৃতীয় শীর্ষ বৈঠক৷ ধাপে ধাপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাব পেশ করতে পারেন তিনি৷ এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলে প্রেসিডেন্ট মুন এবার কিম ও ট্রাম্পের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন করতে চাইছেন৷ সেই শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তির যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চান তিনি৷ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন অবশ্য মনে করেন, কিম জং উন এমন বৈঠকে অংশ নেবেন না৷ চলতি মাসের শেষে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন মুন৷ তখনই এ বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে চান তিনি৷ ট্রাম্প নিজে মুন ‘প্রধান মধ্যস্থতাকারী' হিসেবে উদ্যোগ নিতে বলেছেন৷ দুই দেশের পরমাণু বিষয়ক মধ্যস্থতাকারীরা মঙ্গলবার মিলিত হয়েছেন৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দুই কোরিয়ার বর্তমান নেতাদের ব্যক্তিগত আগ্রহ ও তাঁদের পারস্পরিক ব্যক্তিগত রসায়নের প্রেক্ষিতে কোরীয় উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ৷ ট্রাম্পের প্রথম কার্যকাল শেষ হবার আগেই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ করার অঙ্গীকার করেছেন কিম৷ এই অবস্থায় ট্রাম্প ও কিম দ্বিতীয়বার মিলিত হলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির আশা করছেন তাঁরা৷ তবে সব পক্ষের পছন্দের ফলাফল অর্জন করতে ব্যাপক প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)