আবর্জনা দিয়ে তৈরি স্কুল
কাম্বোডিয়ার রাজধানী নম পেনে প্রতিদিন যে পরিমাণ আবর্জনা সৃষ্টি হয়, তা দেখে উক ভ্যান্ডে শুধু আবর্জনা দিয়ে একটি স্কুল তৈরি করার পরিকল্পনা করেন৷
বোতলের প্লাস্টিক থেকে জাতীয় পতাকা
নম পেনের উপকণ্ঠে কো ডাচ দ্বীপের ‘কোকোনাট স্কুল’-এ প্লাস্টিকের বোতলগুলোকে সুন্দর করে কেটে, কাটা প্লাস্টিকের টুকরোগুলোকে নানা রঙে স্প্রে-পেইন্ট করে, পরে আবার জোড়া দিয়ে কাম্বোডিয়ার জাতীয় পতাকার একটি মুরাল বা দেয়ালচিত্র তৈরি করা হয়েছে৷ স্কুলের নামে কিন্তু কোনো প্লাস্টিক নেই: নাম রাখা হয়েছে ‘নারকেলি স্কুল’৷
কাচ বসানো দেয়াল
মানে ঠিক কাচ নয়, খালি বিয়ারের বোতল৷ বোতলের ক্যাপগুলো দিয়ে মেঝেতে ফুলের নকশা করা হয়েছে৷
পাখিরা যেভাবে বাসা সাজায়
ছাত্রছাত্রীরা আবর্জনা রিসাইক্লিং ও সেই পুনর্ব্যবহারযোগ্য মালমশলা দিয়ে হাতের কাজ করার প্রশিক্ষণ পায়, কাজেই এ সব প্রকল্প তাদের নিজেদের সৃষ্টি৷ ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এভাবে আবর্জনা কমিয়ে পরিবেশ বাঁচাতে শেখে – এছাড়া তাদের শিল্পবোধ ও সৃজনীশক্তির উন্মেষ হয়, বলেন উক ভ্যান্ডে৷ ছবিতে স্কুলের ছেলেমেয়েরা স্কুলের প্রতীকটিকে প্লাস্টিকের চামচ আর বোতলের ছিপি দিয়ে সাজাচ্ছে৷
ফেলে দেওয়া বলে কিছু নেই
ভ্যান্ডে স্কুল থেকে কোনো আয় করেন না৷ বরং স্কুল চালানোর জন্য তাঁকে বন্ধুবান্ধব, কলেজের ছাত্রছাত্রী ও আরো অনেকের দানের উপর নির্ভর করতে হয়৷ নম পেনের কিছু কিছু কাফে তাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিকের কাপ-চামচ ভ্যান্ডেকে দেয়, যা থেকে কোকোনাট স্কুলের ছাদের একাংশ তৈরি হয়েছে৷
ঝোলানো বাগান
ফুলগাছ যে শুধু টবে লাগানো চলে, এমন তো নয়; পুরনো ফেলে দেওয়া গাড়ির টায়ারেও লতাপাতা গজাতে পারে – টায়ারটা শুধু রং করে নিলেই হলো৷
আবর্জনা থেকে আলপনা
কোকোনাট স্কুলে আবর্জনার পালানোর পথ নেই: পড়ুয়া থেকে মাস্টার, সকলেরই চোখ কোন জিনিসটা দিয়ে কী তৈরি করা যায়, সেই দিকে৷ এই কামরাটি শুধুমাত্র প্লাস্টিক বোতলের টুকরো দিয়ে সাজানো হয়েছে, ভাবতে পারেন?
শিক্ষার পরিবেশ ও পরিবেশ শিক্ষা
কাম্বোডিয়াকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিবেশ-বান্ধব করে তোলার জন্য তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন, বিশ্বাস ভ্যান্ডের৷ ছোটদের নানা ধরনের টেকসই কাজকর্মে সংশ্লিষ্ট করতে হবে, যাতে তারা তার ফলশ্রুতি দেখতে পারে, উপলব্ধি করতে পারে যে, পরিবর্তন আনায় তাদেরও অবদান রয়েছে৷