1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী’

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০

আফগানিস্তানে সেনা না পাঠাতে বাংলাদেশকে হুশিয়ার করে দিয়েছে তালেবান৷ তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে এরকম ঐতিহাসিক ভুল বাংলাদেশের নেতৃত্ব করবে না বলে তারা আশা করেন৷

https://p.dw.com/p/POuE
বাংলাদেশের সৈন্য দেখতে চায় না তালেবানছবি: picture-alliance/dpa

বিশ্লেষকরা বলছেন, আফগানিস্তানে সেনা পাঠাতে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অনেক দিক ভাবতে হবে৷

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান ও পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত রিচার্ড হলব্রুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি৷ ওই বৈঠকে হলব্রুক আফগানিস্তানে সেনা পাঠাতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানান৷

বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের খবর আফগানিস্তানে সেনা না পাঠাতে বাংলাদেশকে হুশিয়ার করে দিয়েছে তালেবানরা৷ যুক্তরাষ্ট্রের মনিটরিং সার্ভিস এসআইটিইকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়েছে আফগানিস্তানে কয়েক শ' সেনা পাঠিয়ে আফগান জনগণ এবং ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে জড়িত না করার মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বাংলাদেশের নেতাদের রয়েছে৷ তালেবানদের ওয়েবসাইট ‘জিহাদিষ্ট ফোরাম'এ এই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়৷ বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুনীরুজ্জামান বলেন, আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী৷ কারণ এর ফলে বাংলাদেশে সন্ত্রাস বেড়ে যাবে৷ তিনি বলেন, সেখানে সেনা পাঠান হলে সেখানে কর্মরত বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মীরাও হুমকির মুখে পড়বেন৷ তাই সেখানে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে নানা দিক নিয়ে ভাবতে হবে৷

UN-Soldaten in Kongo
বাংলাদেশের সৈন্যরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি রক্ষার কাজে নিয়োজিতছবি: picture-alliance / dpa/dpaweb

বর্তমানে আফগানিস্তানে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর দেড় লাখ সেনা রয়েছে৷ ২০১১ সালের জুলাই মাসে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের৷ সে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশি সেনাদের সহায়তা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বে সামরিক অভিযান শুরু করে ন্যাটো জোট৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন