1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে বাংলাদেশি জঙ্গি নিহত?

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২০ এপ্রিল ২০১৭

গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের আস্তানা লক্ষ্য করে চালানো মার্কিন হামলায় নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিল বলে জানিয়েছে আফগান প্রতিরক্ষা দপ্তর৷ তবে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য এখনো জানানো হয়নি৷

https://p.dw.com/p/2bcZf
Afghanistan - USA Bombe MOAB
ছবি: Reuters/U.S. Department of Defense

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুয়ায়ী, আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রাদমানিশ জানিয়েছেন, ‘‘নিহতদের তালিকায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকরা রয়েছে৷'' তাঁর কথায়, ‘‘হামলায় নিহত জঙ্গিদের অধিকাংশই পাকিস্তান, ভারত, ফিলিপাইন্স ও বাংলাদেশের৷''

জঙ্গি গোষ্ঠী তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর অবস্থান লক্ষ্য করে ১৩ এপ্রিল যে বোমাটি নিক্ষেপ করা হয়, সেটাকে বলা হয় জিবিইউ-৪৩৷ যার অন্য নাম ‘মাদার অফ অল বম্বস'৷ পারমাণবিক বোমার পর এটাই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা৷ সেদিনের হামলার পর ১৮ এপ্রিল ঐ ঘটনায় নিহতদের জাতীয়তা সম্পর্কে জানান আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র৷ তবে কোন দেশের কতজন নাগরিক নিহত হয়েছে, তা নিশ্চিত করেননি তিনি৷ এছাড়া জঙ্গিদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিল কিনা অথবা থাকলে কতজন ছিল, তা অন্য কোনো সূত্র থেকেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি ৷

সহেলি ফিরদৌস

পেন্টাগন এবং আফগান কর্মকর্তারা জানান, ‘হামলায় আইএস-এর শীর্ষস্থানীয় চার কমান্ডারসহ ৯৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে৷' মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র অ্যাডাম স্টাম্প বলেন, ‘‘বোমাটি এমসি-১৩০ যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা হয় আইএস জঙ্গিদের গোপন সুড়ঙ্গ, গুহা ও বাংকারে৷''

বাংলাদেশের পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি সোহেলী ফেরদৌস ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার ব্যাপারে আফগান সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি৷ ফলে বিষয়টি আমাদের জানা নেই৷ একমাত্র আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এর উল্লেখ আছে৷ তাই আমরা নিশ্চিত নই যে, সেখানে আদৌ কোনো বাংলাদেশি নিহত হয়েছিল কিনা৷ তাছাড়া এ ধরনের তথ্য ইন্টারপোলের মাধ্যমেও জানানোর বিধান আছে৷ তবে ইন্টারপোলের মাধ্যমে কোনো তথ্য বাংলাদেশ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে সময় লাগবে৷''

নূর খান

জঙ্গি বিষয়ক গবেষক এবং মানবাধিকার কর্মী নূর খান ডয়চে ভেলেক বলেন, ‘‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বীজ বপন করেছিল আফগান ফেরত মুজাহিদরা৷ তখন তারা ছিল আল-কায়েদা দ্বারা প্রভাবিত৷ আইএস-এর উত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে কিছু তরুণ সিরিয়া ও ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে গিয়ে জিহাদে যোগ দেয়৷ আইএস-এর এখন যে নতুন পরিকল্পনা, তাতে আফগানিস্তানে আইএস-এর সঙ্গে কোনো বাংলাদেশির থাকা নিয়ে তেমন সন্দেহ করার কিছু নেই৷ তাই নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি থাকতেই পারে৷''

তবে তিনি আরো বলেন, ‘‘আফগানিস্তান কখন তথ্য দেবে তার জন্য বসে না থেকে আমাদেরই উচিত হবে যোগাযোগ করে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা৷ তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের আত্মীয়স্বজন যারা বাংলাদেশে আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলা৷ সার্বিক বিবেচনায় আমাদের নিরাপত্তার জন্যই এটা করা দরকার৷''

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের সঙ্গে অনুষ্ঠানিক যোগাযোগ না হলেও বাংলাদেশ পুলিশ নিহত বাংলাদেশিদের জন্য তথ্য জানতে আগ্রহী৷ আর সেটা কীভাবে জানা যায়, তা নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য