1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজআফগানিস্তান

আফগানিস্তানে জৈশ এবং লস্করের ক্যাম্প

৩০ মে ২০২২

জাতিসংঘের মনিটারিং টিমের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্ট নিয়ে সোচ্চার ভারত।

https://p.dw.com/p/4C1RG
আফগানিস্তান
ছবি: picture-alliance/Zuma

কাশ্মীরে গত একবছরে লস্কর-ই-তইবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা বেড়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। তারই মধ্যে প্রকাশিত হলো জাতিসংঘের তালেবান মনিটারিং টিমের রিপোর্ট। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তালেবানশাসিত আফগানিস্তানে একাধিক জৈশ এবং লস্করের ক্যাম্প চলছে। তালেবান প্রশাসকরা সেই ক্যাম্প পরিদর্শনে গেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

তালেবান বিরুদ্ধে লড়ছেন যে আফগান নারী

জাতিসংঘে তালেবানমনিটারিং কমিটি বহুদিন ধরে কাজ করছে। তালেবানের কর্মকাণ্ডের দিকে তারা নজর রাখে এবং সময় সময় রিপোর্ট প্রকাশ করে। অতি সম্প্রতি তারা একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের আটটি জায়গায় জৈশের সন্ত্রাসী ক্যাম্প ছিল। তার মধ্যে তিনটি এখনো সক্রিয়। নানগরহার অঞ্চলে ক্যাম্পগুলি চলছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কুনার এবং নানগরহারে লস্করের তিনটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চলছে বলেও ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

এবিষয়ে দোহায় তালেবানের কূটনৈতিক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের মাটি কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। আফগানিস্তানে বসে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির উপর আঘাত হানা যাবে না বলেও তারা স্পষ্ট জানিয়েছে। কিন্তু বাস্তব অন্যরকম বলেই দাবি জাতিসংঘের।

মনিটারিং টিমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে নানগরহরে একটি লস্কর ক্যাম্পে গিয়েছিল একটি তালেবান প্রশাসনের বড় দল। লস্কর কম্যান্ডার মওলাভি আসাদুল্লাহের সঙ্গে তালেবান ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নূর জালিলের বৈঠক হয়েছিল গত বছর অক্টোবর মাসে। ভারত কিছুদিন আগেই দাবি করেছিল, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীরে জৈশ এবং লস্করের আনাগোনা বেড়েছে।

তালেবান নিয়ে এটি ১৩তম রিপোর্ট মনিটারিং টিমের। আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর এটি তাদের প্রথম রিপোর্ট।

বস্তুত, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর ভারত জানিয়েছিল, এর ফলে জঙ্গিবাদ বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। এ নিয়ে বিশ্বমঞ্চে একাধিকবার সরব হয়েছে ভারত। এর আগেও তালেবান যখন আফগানিস্তানে ক্ষমতায় এসেছে, কাশ্মীরে জঙ্গিবাদ বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। এবারও সেই একই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। কাশ্মীর বিশেষজ্ঞ এবং ডিডাব্লিউয়ের সাংবাদিক সালাউদ্দিন জৈনের বক্তব্য, ''গতবার তালেবান ক্ষমতা দখলের পর কাশ্মীরে আফগান যোদ্ধাদের রীতিমতো কুচকাওয়াজ করতে দেখা গেছিল। এবার এখনো পর্যন্ত তেমন কিছু দেখা না গেলেও লস্কর এবং জৈশের মতো সংগঠনগুলি যে আরো সক্রিয় হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে এখন স্পষ্ট যে, আফগানিস্তানে তাদের ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে বহু সদস্য কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে।''

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, রয়টার্স)