আফগানিস্তান নিয়ে ১০ মুভি
আফগানিস্তানের সংঘাতপূর্ণ ইতিহাস নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক মুভি তৈরি হয়েছে৷ ছবিঘরে বাছাই করা ১০টি মুভির কথা থাকছে৷
হাভা, মরিয়ম, আয়েশা (২০১৯)
আফগান পরিচালক সাহরা করিমির পরিচালনায় তৈরি এই মুভির প্রিমিয়ার ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হয়েছিল৷ কাবুলে বাস করা তিন নারীর গর্ভধারণের সময়টুকু ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে৷
ওসামা (২০০৩)
তালেবান আমলে (১৯৯৬-২০০১) সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ এছাড়া সংঘাতের কারণে পুরুষরা নিহত বা আহত হওয়ায় অনেক পরিবারে রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ ওসামা ছবিতে সেই অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে৷ ওসামা নামের এক তরুণীর ছেলে সেজে রোজগার করতে নামার গল্প তুলে ধরেছে এই ছবি৷ তালেবান আমলে ছবি নির্মাণের উপরও নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ ফলে তালেবান আমলের পর আফগানিস্তানে চিত্রায়িত হওয়া প্রথম ছবি ওসামা৷
দ্য ব্রেডউইনার (২০১৭)
ওসামার মতো প্রায় একই রকম গল্প নিয়ে এই অ্যানিমেটেড মুভিটি তৈরি হয়েছে৷ এখানে পারভানা নামে ১১ বছরের এক মেয়ের গল্প বলা হয়েছে৷ এটি বেস্ট অ্যানিমেটেড ফিচার বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল৷
দ্য কাইট রানার (২০০৭)
আফগানিস্তানের গত অর্ধশত বছরের ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে এই ছবির গল্প নির্মিত হয়েছে৷ রাজতন্ত্রের পতন, সোভিয়েত দখলকারি, গণহারে আফগানদের দেশ ছাড়া, তালেবানি আমল ইত্যাদি নিয়ে এই মুভির গল্প তৈরি হয়েছে৷ জার্মান-সুইস ফিল্মমেকার মার্ক ফর্স্টার মুভিটি পরিচালনা করেছেন৷ খালেদ হোসেইনির বেস্ট-সেলিং উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে মুভিটি নির্মিত হয়েছে৷
কান্দাহার (২০০১)
বোনকে আত্মহত্যার পরিকল্পনা থেকে বাঁচাতে এক আফগান-ক্যানাডিয়ান ব্যক্তির দেশে ফেরার গল্প নিয়ে ছবিটি বানিয়েছেন ইরানের প্রখ্যাত পরিচালক মোহসেন মাখমালবাফ৷ ২০০১ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ারের সময় এটি আলোচিত হতে না পারলেও যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর আফগানিস্তানে নারীদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে বিশ্ববাসী আগ্রহী হয়ে উঠেছিল৷
অ্যাট ফাইভ ইন দ্য আফটারনুন (২০০৩)
এক আফগান তরুণীর প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গল্পটি তৈরি হয়েছে৷ সেই লক্ষ্য পূরণে তালেবানের পরাজয়ের পর ঐ তরুণী পড়াশোনা শুরু করে৷ ‘কান্দাহার’ ছবির পরিচালক মোহসেন মাখমালবাফের মেয়ে সামিরা এই ছবির পরিচালক৷
ইন দিস ওয়ার্ল্ড (২০০২)
পাকিস্তানের শরণার্থী শিবিরে বাস করা দুই আফগান তরুণ শরণার্থীর অবৈধভাবে লন্ডন যাত্রা নিয়ে ছবিটি তৈরি হয়েছে৷ এটি তথ্যচিত্রের মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে৷ ২০০৩ বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে এটি ‘গোল্ডেন বেয়ার’ জয় করে৷
লোন সারভাইভার (২০১৩)
২০০৫ সালে আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে তালেবানের সঙ্গে লড়েছিল মার্কিন নেভি সিলের চার সদস্য৷ এতে তিনজন মারা গিয়েছিলেন৷ বেঁচে গিয়েছিলেন মার্কুস লুটরেল৷ অভিযানের সময় তাদের উদ্ধারে যে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল সেটিও গুলি করে ভূপতিত করা হয়েছিল৷ মার্কুস লুটরেলের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লোন সারভাইভার নির্মাণ করা হয়৷
ব়্যাম্বো থ্রি (১৯৮৮)
সিলভেস্টার স্ট্যালোনের ব়্যাম্বো থ্রি মুভিটি সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের সময় তৈরি৷ সোভিয়েত সেনাবাহিনীর কাছ থেকে নিজের সাবেক কমান্ডার ও বন্ধুকে উদ্ধার করতে আফগানিস্তান গিয়েছিল ব়্যাম্বো৷
চার্লি উইলসনস ওয়ার (২০০৭)
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সময় যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের মুজাহিদদের সহায়তা করেছিল৷ মার্কিন কংগ্রেসম্যান চার্লি উইলসন এই গোপন সহায়তা কর্মসূচির মূল ব্যক্তি ছিলেন৷ তার জীবনের গল্প নিয়ে এই মুভিটি তৈরি হয়েছে৷