1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানদের জন্য নতুন শরণার্থী নীতি অ্যামেরিকার

৩ আগস্ট ২০২১

যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানদের জন্য নতুন শরণার্থী নীতি নিতে চলেছে অ্যামেরিকা। অ্যামেরিকায় আশ্রয় পাবেন আরো বেশি আফগান।

https://p.dw.com/p/3ySEr
আফগানিস্তান
ছবি: Ted Aljibe/AFP/Getty Images

আফগানিস্তানের রাস্তা এখন রক্তাক্ত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তালেবানের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ চলছে আফগান বাহিনীর। এতদিন দেশের রাজধানী শহরগুলিকে ঘিরে রাখছিল তালেবান। এবার ধীরে ধীরে তারা শহরগুলিতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। কান্দাহারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে লড়াই চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, রাস্তায় মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কিন্তু তোলার সাহস পাচ্ছেন না কেউ।

এই পরিস্থিতিতে বহু আফগান দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। একসময় যারা মার্কিন সেনাকে সাহায্য করেছিলেন, মার্কিন সংস্থার জন্য কাজ করেছিলেন, তাদের জীবনও এখন বিপন্ন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ আফগান জনগণের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, আরো বেশি আফগান শরণার্থী যাতে অ্যামেরিকায় যেতে পারেন এবং সেখানে অভিবাসী প্রত্যাশী হতে পারেন, মার্কিন সরকার সে বিষয়টি দেখছে।

মার্কিন শরণার্থী নীতি মানলে যে কোনো আফগান সে দেশে অভিবাসী প্রত্যাশী হতে পারেন না। বিলংকেন জানিয়েছেন, একটি দ্বিতীয় নীতির খসড়া তৈরি হচ্ছে। সেখানে অনেক বেশি আফগান শরণার্থীর মর্যাদা পাবেন।

মার্কিন পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর মধ্যেই প্রায় ২০ হাজার দরখাস্ত তাদের কাছে এসেছে। হাজার হাজার আফগান অ্যামেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। নতুন নীতি চালু হলে সংখ্যাটি ৫০ হাজারে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্লিংকেন জানিয়েছেন, বিভিন্ন মার্কিন সংবাদসংস্থায় যারা কাজ করেছেন, অ্যামেরিকার সেনার সঙ্গে এবং সামরিক সংস্থার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন, তাদেরকেও পাকাপাকি ভাবে অ্যামেরিকায় গিয়ে থাকার সুযোগ দিতে হবে।

মুশকিল হলো, দ্রুত এই কাজ করা যাবে না। দরখাস্ত করার পর দুই বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। কিন্তু আফগানরা এতদিন দেশে থাকতে চাইছেন না। সে ক্ষেত্রে জাতিসংঘের শরণার্থী সার্টিফিকেট নিয়ে আফগানরা তৃতীয় কোনো দেশে সাময়িক ভাবে থাকতে পারেন বলেও জানিয়েছে অ্যামেরিকা। অ্যামেরিকার বক্তব্য, আফগানদের নিজের দায়িত্বে দেশ ছাড়তে হবে। সময় লাগলেও শেষপর্যন্ত তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা অ্যামেরিকা করার চেষ্টা করবে।

এদিকে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অ্যামেরিকাকে দায়ী করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট। তার বক্তব্য, অ্যামেরিকা আচমকা যেভাবে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করেছে, তা অনৈতিক। অ্যামেরিকা তালেবানকে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। অ্যামেরিকা অবশ্য এখনো পর্যন্ত এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)