1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদালতে এসএসসি দুর্নীতির চার্জশিট পেশ

৯ নভেম্বর ২০২২

চার্জশিটে সিবিআই বলেছে, সচিব পর্যায়ের অফিসারও যুক্ত ছিলেন এই দুর্নীতির সঙ্গে।

https://p.dw.com/p/4JF7k
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
ছবি: Prabhakar Mani Tewari/DW

এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে আদালতে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। চার্জশিটে বলা হয়েছে, অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। একাধিক দুঁদে সরকারি অফিসার এই দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড। তারাই পুরো ছকটি তৈরি করেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, দুর্নীতির এই দল অটুট রাখার জন্য তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বেআইনিভাবে সরকারি অফিসারদের বদলি এবং অবসর নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে সম্পূর্ণ চার্জশিটটি পেশ করা হয়েছে। 

স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন একাধিক সাবেক সরকারি অফিসার। এসএসসি-র মাধ্যমে গ্রুপ সি বা তৃতীয় শ্রেণির কর্মী নিয়োগের মামলায় সম্প্রতি সিবিআই তাদের চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিলেন এক সরকারি অফিসার। মন্ত্রী এবং কমিশনের মাঝে সেতুর কাজ করতেন তিনি। শিক্ষা দপ্তরের একাধিক অফিসার এবং কর্মী এই দুর্নীতির বিষয়ে ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। প্রভাবশালীদের সামনে কার্যত কাঠের পুতুলে পরিণত হয়েছিলেন তারা। সচিব পর্যায়ের অফিসাররা এই দুর্নীতির মূল মস্তিষ্ক বলে দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে। একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। 

চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে মন্ত্রীপার্থ চট্টোপাধ্যায় শিল্প দপ্তর থেকে শিক্ষা দপ্তরে আসেন। ২০১৬ সালে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি স্তরের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বের হয়। সেখআনে বলা হয়, মোট ২০১৭টি শূন্যপদ আছে। শুধু তা-ই নয়, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় পরীক্ষা হবে ওএমআর শিটে। যা কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে। ফলে কোনো রিভিউ হবে না। 

২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর ২০৩৫ জনের প্যানেল ঘোষিত হয়। কিন্তু এরপর থেকেই শুরু হয় দুর্নীতি। অথচ কোনো চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি ওয়েবসাইটেও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশিত হয়নি। গোড়া থেকেই শান্তিপ্রসাদ সিংহ এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। শান্তিপ্রসাদকে এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। পার্থ এবং শান্তিপ্রসাদ গোড়া থেকে এই দুর্নীতি পরিকল্পনা করেছেন বলে অভিযোগ। 

যে ওএমআর শিটের রিভিউ হবে না বলা হয়েছিল, সেই ওএমআর শিটেরও রিভিউ করার সুযোগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এবং তার জেরে নতুন করে প্যানেলে ৩৮১ জনের নাম ঢোকানো হয়। 

এসএসসি-র রিজিওনাল কমিশনের চেয়ারম্যানদের সই পর্যন্ত জাল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই জাল সইয়ের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। 

চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে স্কুল সার্ভিস বোর্ডের অ্যাডহক কমিটির প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। তার বয়স তখন ৬৮। অবসরের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরেও নিয়ম ভেঙে তার চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। 

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)