1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‌আতশবাজির দাপট কমছে

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২৮ অক্টোবর ২০১৯

পরিবেশ দূষণ রুখতে দীপাবলি উৎসবের সময় আতশবাজি না পোড়ানোর শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে স্কুলে৷ তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3S36E
Indien Diwali Fest ohne Feuerwerk
ছবি: DW/S. Bandopadhyay

শব্দবাজি, যার বিকট আওয়াজ ব্যাপক শব্দদূষণের কারণ হয়, সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে৷ বেশ কয়েক বছর ধরেই পুলিশ দীপাবলি উৎসবের রাতে সতর্ক থাকে শহরে, জেলায়৷ আইন ভাঙলে ব্যবস্থা নেয়৷ কিন্তু তার পরেও লুকিয়ে চুরিয়ে শব্দবাজির কেনাবেচা এবং ফাটানো পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি৷ সেখানে সব ধরনের আতসবাজি পোড়ানোয় কমবয়সিদের অনাগ্রহ রীতিমত উল্লেখযোগ্য এক ঘটনা৷ সেটাই ঘটছে গত দু-এক বছর ধরে৷ এবারও কলকাতা শহরে আতসবাজির রোশনাই যেন কিছুটা কম৷ তার জায়গায় দেদার বিকোল রঙিন মোমবাতি, নানা বাহারের মাটির প্রদীপ এবং রঙিন আল্পনা, বা রঙ্গোলির সরঞ্জাম৷ এটা সম্ভব হল একটাই কারণে৷ বাড়ির বাচ্চাদের চাপে বড়রাও ক্রমশ হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন৷ আতসবাজি পুড়িয়ে পরিবেশের দূষণ একটু একটু করে কমছে৷
১০ বছরের আরভ সরকার বাজি পোড়ানোর ব্যাপারে খুব উৎসাহী ছিল সারা ছোটবেলা৷ কিন্তু ওদের স্কুলে এখন শেখাচ্ছে, বাজির আলো আর শব্দে যেমন মানুষ, বিশেষত বয়স্ক, শিশু এবং অসুস্থদের প্রবল অসুবিধে হয়, তেমনই মনুষ্যেতর প্রাণিদেরও কষ্ট হয়৷ এর সঙ্গে হয় ব্যাপক পরিবেশ দূষণ৷ তাই বাজি না পুড়িয়ে রঙিন আলপনা দিয়ে, বা ঘরে মিষ্টি তৈরি করে দীপাবলি পালনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে ওদের৷ আর আতসবাজির জন্য বরাদ্দ টাকায় গরিব বাচ্চাদের মিষ্টি কিনে দিতে বলছে স্কুল থেকে৷ এবং বাচ্চারা প্রায় সবাই সানন্দে মেনে নিয়েছে এই নতুন ধরনের উদযাপন৷ ডয়চে ভেলে-কে জানালেন আরভের মা সোনালি সরকার৷

সোনালি সরকার


তবে এই দূষণের ব্যাপারে কলকাতা যতটা সচেতন, দিল্লি তার থেকে বেশি৷ কারণ দিল্লির বাসিন্দারা ভয়াবহ বায়ুদূষণের  ভুক্তভোগী৷ যদিও সেটা কিছুটা লাগোয়া রাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানোর কারণে তৈরি ধোঁয়া থেকে, কিন্তু তার সঙ্গে বাজি পোড়ানোর ধোঁয়া যুক্ত হলে সমস্যা আরও বাড়ে৷ ফলে গত তিন বছর ধরে আর বাজি পোড়ান না দিল্লির বাসিন্দা সৌরাংশু সিনহা৷ তিনি ডয়চে ভেলে-কে জানালেন, শুধু বাজি পোড়ানো বন্ধ করাই নয়, উৎসবের যে বিষয়গুলি পরিবেশ দূষণ ঘটাতে পারে, সেরকম সব আচার আচরণই ওঁরা ধীরে ধীরে বদলে ফেলছেন৷ যেমন দিল্লিতে ওঁদের যে বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন, তার দুর্গাপুজোর পর এখন আর কোনও নদীতে প্রতিমা বিসর্জন হয় না৷ পুজোর মাঠেই বড় পরিখা খুঁড়ে, তাতেই মূর্তি ফেলে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়৷
যদিও কলকাতা শহরে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে আতসবাজি পুড়িয়ে জাঁক করা এখনও প্রায় নিজেদের অর্থনৈতিক জাহির করার অন্যতম উপায়৷ কিন্তু শিক্ষা এবং সচেতনতা যেহেতু স্কুলশিক্ষার স্তর থেকে শুরু হয়ে গেছে, সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত উৎসব হয়ত অদূর ভবিষ্যতেই সম্ভব হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য