আণবিক অস্ত্র আমাদের সঙ্গে আছে, থাকবে
১০ আগস্ট ২০২০সব যুগেই মানুষ সেই সময়ে পাওয়া যাওয়া সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে৷ এক্ষেত্রে নিষেধ করে কোনো লাভ হয়নি, কারণ কেউ না কেউ সুবিধা পেতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিটি ব্যবহার করবেই৷ সংবাদভাষ্যের লেখক ফেলিক্স স্টাইনারের একজন শিক্ষক ৪০ বছর আগে তাকে এই শিক্ষা দিয়েছিলেন৷ এই তত্ত্ব আজও ঠিক বলে মনে করেন ফেলিক্স স্টাইনার৷
গত ৪০ বছরে উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে৷ উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দুবার সাক্ষাৎ করেছেন, তার সঙ্গে হাসিমুখে হাত মিলিয়েছেন, এবং এরপর যা ইচ্ছা তাই করছেন৷
আর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির সবচেয়ে বিপজ্জনক দিকটি হচ্ছে, এই কর্মসূটির জনক আব্দুল কাদির খান এ সংক্রান্ত তার প্রযুক্তিগত জ্ঞান তেহরান, পিয়ংইয়ং ও ত্রিপোলির কাছে বিক্রি করেছেন৷ এর বাইরে আর কার কাছে বেচেছেন, তা আমরা জানিনা৷
এখন পর্যন্ত অ্যামেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে মারণঘাতী অস্ত্রটি ব্যবহার করেছে৷ এতে এক লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন৷ যুদ্ধাপরাধের সব বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে থাকলেও কখনও এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করা হয়নি৷ কারণ বিজয়ীরাই ইতিহাস লিখে থাকে৷
ইতিহাসবিদরাও অনেকবার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, যে কারণ দেখিয়ে (জাপান দখল করার জন্য) জাপানে আণবিক বোমা ফেলা হয়েছে তা ছিল এক মহা মিথ্যা৷ কারণ বোমা ফেলার আগেই জাপান আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিয়েছিল৷
অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক এখনও বিশ্বাস করেন যে, পরমাণু বোমা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল৷ তবে একমাত্র আশার বিষয় হচ্ছে, ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সি মার্কিনিদের মধ্যে এমন মত প্রকাশের সংখ্যা অর্ধেকের কম৷
আণবিক বোমার ব্যবহার বন্ধ হবে, সম্ভবত এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ তবে মানুষ যদি এর চেয়েও মারণঘাতী কোনো অস্ত্র বানাতে পারে তাহলে নিশ্চিত করে বলা যায়, এই অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ হবে৷ এর বাইরে অন্য কিছু আশা করাটা হবে অভিলাষী চিন্তা৷
ফেলিক্স স্টাইনার/জেডএইচ