আটকে যাওয়া জাহাজ জলে ভাসিয়ে খুলল সুয়েজ খাল
একটি পণ্যবাহী জাহাজ আড়াআড়ি আটকে গিয়েছিল সুয়েজ খালে। দিন সাতেকের চেষ্টার পর সেই জাহাজ আবার জলে ভাসল। খুলল সুয়েজ খাল।
বিশাল জাহাজ
সুয়েজ খালে যে জাহাজটি আটকে পড়েছিল তার নাম এমভি এভার গিভেন। ৫০০ মিটার লম্বা, ৫৯ মিটার চওড়া, দুই লাখ ২০ হাজার টনের জাহাজটি ভূমধ্যসাগরের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়। তারপর ঘুরে গিয়ে তা আড়াআড়ি আটকে যায়।
কী করে হলো
মনে করা হচ্ছে, প্রবল বাতাসের ফলে জাহাজের হাল বিচ্যুত হয়। তারপর তা ঘুরে যায়। জাহাজের তলাটা খালের নীচে কাদামাটির মধ্যে আটকে গেছিল।
সমানে চেষ্টা
আটক জাহাজটি সরাবার চেষ্টা চলছিল। নানাভাবে চেষ্টা হচ্ছিল। ড্রেজিং-শিপ এনে, টাগ বোট লাগিয়ে, জোয়ারের সময় বেড়ে যাওয়া জল ও উঁচু ঢেউকে কাজে লাগিয়ে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ড্রেজার ড্রেজিং করে জাহাজটি সরাবার চেষ্টা করছে।
জাহাজ-জট
এভার গিভেন এইভাবে আটকে যাওয়ায় ভূমধ্যসাগর বা লোহিত সাগর কোনোদিক থেকেই জাহাজ আসা-যাওয়া করতে পারছিল না। ফলে প্রচুর জাহাজ আটকে পড়েছিল।
পশুদের নিয়ে চিন্তা
আটকে পড়েছে প্রচুর পশুবাহী জাহাজ। হাজার হাজার পশু রয়েছে সেই সব জাহাজে। রোমানিয়ারই ১৩টি পশুবাহী জাহাজ আটকে পড়েছে। মিশর জানিয়েছে, ওই জাহাজে পশু চিকিৎসক, খাবার ও জল পাঠানো হচ্ছে।
বিপুল ক্ষতি
সুয়েজ আটকে যাওয়ায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্ব। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে এক হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হচ্ছে। মিশরের প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে এক কোটি ২০ লাখ থেকে এক কোটি ৪০ লাখ ডলার। খাল আটকে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে পণ্য পৌঁছতে দেরি হবে।
চেষ্টার ফল
সাতদিন ধরে চেষ্টার পর প্রথমে জাহাজটিকে আংশিকভাবে ভাসানো সম্ভব হয়।
ড্রেজিং করে
আটকে যাওয়া জাহাজের পাশে সমানে ড্রেজিং করে পলি-মাটি সরানো হয়। তারপর জাহাজটি জলে ভাসে। টাগ বোট দিয়ে তা টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবশেষে স্বস্তি
আবার জলে ভাসল এভার গিভেন। সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটল। সুয়েজ খাল আবার আগের মতো খুলে গেল।