1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আটক অধিকাররক্ষা কর্মীর মৃত্যু

৬ জুলাই ২০২১

জামিন চেয়েছিলেন ৮৪ বছর বয়সি অধিকাররক্ষা কর্মী স্ট্যান স্বামী। রায় আসার আগেই তিনি মারা গেলেন। 

https://p.dw.com/p/3w4nf
প্রতীকী ছবি। ছবি: Getty Images/AFP/I. Mukherjee

মহারাষ্ট্রে এডগার পরিষদ মামলায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ধরা হয়ছিল স্ট্যান স্বামীকে। ৮৪ বছর বয়সি এই জেসুইট প্রিস্ট অসুস্থতার কারণে জামিন চেয়েছিলেন। রোববার তার শরীর খারাপ হয়। বেসরকারি হোলি ফ্যমিলি হাসপাতালে তাকে ভেন্টিলেটারে রাখা হয়। সোমবার তার জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতে যখন শুনানি চলছে, তখনই তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।

আদালতের নির্দেশে তাকে গত ২৮ মে থেকে হোলি ফ্যমিলি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগটিভ এজেন্সি বা এনআইএ-র তাতেও আপত্তি ছিল। তারা চেয়েছিল, সরকারি হাসপাতালেই তার চিকিৎসা হোক। কিন্তু স্বামী জানিয়ে দেন, দরকার হলে তিনি জেলে বসে মরবেন, কিন্তু সরকারি হাসপতালে যাবেন না।

গত বছর অক্টোবরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর নানা কারণে তাকে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। তার পারকিনসনস ছিল। তাই জেলে একটা সিপার ও স্ট্র-র ব্যবস্থা করতেও আদালতে আবেদন জানাতে হয়েছিল। তিনি অনেকবার চিকিৎসার জন্য জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু ইউএপিএ আইনে জামিনের শর্ত খুবই কঠিন। তার বিরুদ্ধে তিনি মুম্বই হাইকোর্টে আবেদন জনিয়েছিলেন। সোমবার সবে সেই আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছিল। সেখানে তার আইনজীবীরা জানিয়ে দেন, স্বামী মারা গেছেন।

এর আগে স্ট্যান স্বামী অভিযোগ করেছিলেন যে, জেলের পরিবেশ খুবই খারাপ। জেলের কর্মকর্তারা তার চিকিৎসা, বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা কিছুই করাচ্ছে না। করোনার সময়ে সামাজিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না।

২০১৭ সালের ভীমা কোরেগাঁওতে সহিংসতার ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যেখানে একজন মারা যান। তদন্তকারী সংস্থার দাবি ছিল, ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা এলগার পরিষদের কর্মকর্তারা উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন। যার জেরে সহিংসতা হয়েছে। এই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগ ছিল। তাকে আরবান নক্সালও বলা হয়।স্ট্যান স্বামী গত পাঁচ দশক ধরে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের জন্য কাজ করছেন। এনআইএ-র অভিযোগ, তার সঙ্গেও মাওবাদীদের যোগ ছিল। তিনি অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)