1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আগামী বছর বিয়ে করছেন হ্যারি

২৭ নভেম্বর ২০১৭

পাত্রী মার্কিন অভিনেত্রী মেঘান মার্কল৷ প্রিন্স হ্যারির বাবা প্রিন্স চার্লসের কার্যালয় ক্লারেন্স হাউস এক বিবৃতিতে এই বিয়ের খবর প্রকাশ করেছে৷

https://p.dw.com/p/2oL7X
ছবি: Getty Images for the Invictus Games Foundation/C. Jackson

‘‘হিজ রয়েল হাইনেস দ্য প্রিন্স অফ ওয়েলস আনন্দের সঙ্গে মেঘাল মার্কলের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারির বাগদানের ঘোষণা দিচ্ছে৷ বিয়ে হবে ২০১৮-র বসন্তে’’, বিবৃতিতে জানিয়েছে ক্লারেন্স হাউস৷

লন্ডনে বাগদান হওয়ার পর প্রিন্স হ্যারি দাদি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথসহ রাজ পরিবারের অন্য সদস্যের বিষয়টি জানান৷ মার্কলের মা-বাবার কাছ থেকেও আশীর্বাদ চান প্রিন্স হ্যারি৷

ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স হ্যারির ভাই প্রিন্স উইলিয়ামসহ সবাই বিয়ের খবরকে স্বাগত জানিয়েছে৷

রাজপরিবারের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখা হয়েছে, ‘‘রানি ও দ্য ডিউক অফ এডিনবরা এই দম্পতিকে নিয়ে খুশি এবং আমরা তাঁদের সুখি জীবনের প্রত্যাশা জানাচ্ছি৷’’

মার্কলের বাবা থমাস মার্কলে ও মা ডোরিয়া ব়্যাগল্যান্ড এক বিবৃতিতে এই দম্পতির জন্য আজীবন সুখ কামনা করেছেন৷

বিয়ের পর প্রিন্স হ্যারি ও মেঘান মার্কল দম্পতি লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেসের নটিংহ্যাম কটেজে বাস করবেন৷ ভাই প্রিন্স উইলিয়াম তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী কেটসহ দুই সন্তান নিয়ে সেখানে থাকেন৷

মার্কল কে?

৩৬ বছর বয়সি এই মার্কিন অভিনেত্রী টেলিভিশন শো ‘স্যুটস’-এ আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত৷ তাঁর মা একজন আফ্রিকান-অ্যামেরিকান (পেশায় ক্লিনিক্যাল থেরাপিস্ট), আর বাবা শ্বেতাঙ্গ (পেশায় টেলিভিশন লাইটিং ডিরেক্টর)৷ ৩৩ বছর বয়সি প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে মার্কিন এই অভিনেত্রীর সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পর মার্কলের মিশ্র বর্ণ পরিচয় নিয়ে ট্যাবলয়েডগুলোতে অনেক খবর প্রকাশিত হয়৷ এছাড়া চলচ্চিত্র নির্মাতা ট্রেভর এঙ্গেলসনের সঙ্গে মার্কলের প্রথম বিয়ে ও দুই বছর পর বিবাহবিচ্ছেদের খবরও জানিয়েছিল ট্যাবলয়েডগুলো৷

সেপ্টেম্বরে ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন মার্কল৷ সেই সময় তিনি জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে লন্ডনে বন্ধুদের মাধ্যমে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় হয়৷

মার্কল বেড়ে উঠেছেন লস অ্যাঞ্জেলসে৷ এখন বাস করছেন ক্যানাডার টরন্টোতে৷ লিঙ্গসমতা বিষয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তিনি৷ এছাড়া মেয়েদের শিক্ষা ও মাসিককে ঘিরে ট্যাবুর বিষয়ে টাইম ম্যাগাজিনে লেখালেখি করেছেন৷ একটি চ্যারিটির গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হয়ে রুয়ান্ডাও সফর করেছেন মার্কল৷ দারিদ্র্যতা সম্পর্কে জানাতে মার্কলকে তাঁর মা জ্যামাইকার বস্তিতে নিয়ে গিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মার্কল৷

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের কোনো সদস্যের মার্কিন নাগরিক বা তালাকপ্রাপ্ত কাউকে বিয়ে করার ইতিহাস এটিই প্রথম নয়৷ এর আগে ১৯৩৬ সালে অস্টম অ্যাডওয়ার্ড দুইবার বিবাহ বিচ্ছিন্ন হওয়া মার্কিন ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করেছিলেন৷ সেই সময় অস্টম অ্যাডওয়ার্ডের সামনে দু'টি বিকল্প উপস্থাপন করা হয়েছিল৷ এক, রাজ পরিবারে থেকে যাওয়া ও দুই, সিম্পসনকে বিয়ে করা৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)