আক্রমণের পর যা করছেন সিরীয়রা
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক অভিযানে দেশটির বহু সামরিক-বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে৷ মুত্যু আতঙ্কে তুরস্কের নিকটবর্তী অঞ্চলগুলো থেকে সরে গেছেন বেশিরভাগ মানুষ৷
নিরাপত্তার খোঁজ
গত ৯ অক্টোবর কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে তুরস্কের সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রায় দুই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ অনেক কুর্দি ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে আশ্রয় নিতে সীমান্ত অতিক্রমনেরও চেষ্টা করেন৷
শুধু পুরুষ
তুরস্কের সামরিক অভিযান শুরুর পর সিরিয়ার উত্তর-পূর্বের অনেক গ্রাম প্রায় খালি হয়ে গেছে৷ তুরস্কের নিকটবর্তী শহরগুলো ছেড়ে নারী ও শিশুরা ভেতরের দিকে চলে গেছেন৷ ফলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হাতেগোনা কিছু পুরুষের বসবাস৷
সবই ফাঁকা
আমুদার বাজারটি একসময় বেশ সরগরম থাকলেই এখন সেখানে মানুষেরই দেখা পাওয়া যায় না৷ তুরস্কের আক্রমণ শুরুর পর থেকেই অনেকগুলো দোকান বন্ধ হয়ে গেছে৷ সিরিয়ার মুদ্রার পতনের কারণে অনেক দোকানে সাশ্রয়ী অফারে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে৷
শহরে ফিরে এসো
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশটির উত্তর-পূর্বের প্রধান শহর কামিশলি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল৷ সার্বিক পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে কে থাকবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়৷
লড়াই
তুর্কি সেনাবাহিনী এবং আঙ্কারা সমর্থিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কুর্দির যুদ্ধবিরোধী ইউনিট লড়াই করছে৷ তবে আসাদের সমর্থন পাওয়ার পর কুর্দি যোদ্ধাদের অবস্থা কী হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়৷
অনিশ্চয়তা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করায় সিরিয়ান কুর্দিরা একে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখেছন৷ এরকমই একজন মাসুদ বলেন, আমরা জানি ট্রাম্প আমাদের সাথে কী করেছিলেন, তবে পুতিনের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও আমরা কিছুই জানি না৷
মন্তব্য নয়
আসাদের অধীনে কয়েক দশকের নৃশংস নির্যাতনের পর ডেরিকের অনেক বাসিন্দা বেশ কয়েক বছর ধরে কার্যত স্ব-শাসন উপভোগ করলেও এই অঞ্চলের সম্ভাব্য শাসনভার নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না৷
আরো মৃত্যু
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিহতদের লাশ নিয়ে আসতে হচ্ছে৷ কারণ তুরস্ক সামরিক ও বেসামরিক উভয় লক্ষ্যেই বিমান হামলা চালিয়েছে৷
মৃত্যু উপত্যকা
সিরিয়ান কুর্দিরা দাবি করেছেন, তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রায় ১১ হাজার লোককে হারিয়েছেন তারা৷ আইএস উল্লেখযোগ্য অঞ্চলগুলোতে নিয়ন্ত্রণ হারালেও এখনো হত্যা বন্ধ হয়নি৷ তুরস্ক সিরিয়ার উত্তর-পূর্বে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে কয়েক ডজন বেসামরিক এবং শত শত যোদ্ধা নিহত হয়েছেন৷
কুর্দিরা একা
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর সিরিয়ার কুর্দিরা সরকার বা বিরোধী দলের পক্ষে যাওয়ার পক্ষে ছিল না৷ এখন অ্যামেরিকা সৈন্য প্রত্যাহার করার পর তারা একা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে, তবে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তাদের পেছনে কেউ নেই৷