‘আওয়ামী প্রজাতন্ত্রের দেশ হতে দিতে পারি না’
১ জানুয়ারি ২০২১ডয়চে ভেলের ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’-এ তিনি বলেন, ‘‘১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সচিবালয়ের আমলাগণ রাস্তায় নেমেছিলেন সরকারের বিরোধিতা করার জন্য আর এখন থেকে এক দেড় মাস আগে চট্টগ্রাম মহানগরীতে সরকারি আমলাগণ নেমেছেন সরকারের পক্ষে৷’’ সরকার দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ বলেন, ‘‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, প্রজাতন্ত্রের বাংলা বা জনগণের বাংলা হচ্ছে আওয়াম বা আওয়ামী , আমরা কি নাম বদলানোর দিকে যাচ্ছি? বাংলাদেশের মানুষকে সজাগ হতে বলবো৷ আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে আওয়ামী প্রজাতন্ত্রের বাংলাদেশ হতে দিতে পারি না৷’’
আলোচনার মূল বিষয় ছিল ‘গণতন্ত্র থাকা না থাকা’৷ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমও অংশ নেন অনুষ্ঠানে৷ তিনি সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীমের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে সরকারি কর্মচারিরা মাঠে নেমেছেন এমন তথ্য ভুল৷ ধর্মীয় সংগঠনগুলোর দাবির প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা৷ তিনি বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা... বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন আমাদের চেতনার বিমূর্ত প্রতীক, আর ধর্মনিরপেক্ষতার সংবিধান ফেলে দিতে চেয়েছে, যেটা বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ সেজন্যই সরকারি কর্মচারিরা একটি প্রতিবাদ করেছে৷'' আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমলাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না, বরং পরিচালিত হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের মাধ্যমে৷’’ প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনায় এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাতের অন্ধকারে ভোট দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতা শ ম রেজাউল করিম দাবি করেন, এমন কোনো প্রমাণ কোথাও নেই৷ বলেন, ‘‘রাতে ভোট হয়েছে এ ধরনের কোনো তথ্য-প্রমাণ দেশে ও বিদেশের কোনো গণমাধ্যমে আসেনি৷’’
২০ দলীয় জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, জোট আবারো আন্দোলন শুরু করবে৷ কল্যাণ পার্টি ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে থাকবে এবং এজন্য দলটিকে পুনর্জাগরণ করা হচ্ছে৷ খালেদা জিয়া আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে না পারলে অন্যদের দায়িত্ব নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷
এফএস/এসিবি