1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজরাশিয়া

আইসিবিএম পরীক্ষা রাশিয়ার, চিন্তিত নয় অ্যামেরিকা

২১ এপ্রিল ২০২২

বুধবার সারমাট ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) পরীক্ষা করলো রাশিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে।

https://p.dw.com/p/4AAnb
আইসিবিএম পরীক্ষা করলো রাশিয়া।
আইসিবিএম পরীক্ষা করলো রাশিয়া। ছবি: Russian Defence Ministry/AFP

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন জানিয়েছেন, ''আমাদের শত্রুরা হামলা করার আগে দুইবার ভাববে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে আঘাত হানতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।'' আর রাশিয়ার মহাকাশ এজেন্সির প্রধান বলেছেন, ''এই ক্ষেপণাস্ত্র ন্যাটোর জন্য উপহার।''

অ্যামেরিকা জানিয়েছে, রাশিয়া তাদের জানিয়ে এই পরীক্ষা করেছে। তারা সারমাট আইসিবিএম নিয়ে চিন্তিত নয়।

রাশিয়ার বক্তব্য

রাশিয়ার সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক সময় ১২টা ১২ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়। সরকারিভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা হলো। পরীক্ষার পর তা রাশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল ফোর্সের অংশ হবে।

পুটিন বলেছেন, সারমাট আইসিবিএমের মতো ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বে নেই। তাই রাশিয়ার শত্রুরা হামলা করার আগে দুই বার ভাববে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর ফলে দেশের পরমাণু অস্ত্রের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেল। বর্তমানে যে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম চালু আছে, তা দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র রোধ করা যাবে না। এমনকী, ভবিষ্যতের প্রযুক্তি দিয়েও এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ঠেকানো যাবে না।

অ্যামেরিকার প্রতিক্রিয়া

পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রকে অ্যামেরিকা ও তার বন্ধু দেশগুলির কাছে বিপদের কারণ বলে মনে করছে না।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, পরমাণু চুক্তি মেনে রাশিয়া আগে থেকেই পরীক্ষার কথা জানিয়েছিল। ফলে তারা অবাক হননি। কিরবির মতে, এটা রুটিন পরীক্ষা।

বহু বছর ধরেই জানা ছিল যে, রাশিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। ৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবস পালন করে রাশিয়া। তার কয়েক সপ্তাহ আগে এই ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চ করা হলো।

জিএইচ/এসজি (রয়টার্স, এপি, ইন্টারফ্যাক্স)