1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিমিয়ানমার

আইসিজের সিদ্ধান্তে মিয়ানমারের জান্তার হতাশা

২৪ জুলাই ২০২২

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলা নিয়ে আপত্তি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত খারিজ করে দেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে দেশটির সামরিক সরকার৷ বিবৃতি প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷

https://p.dw.com/p/4EZJs
প্রতীকী ছবি৷
প্রতীকী ছবি৷ছবি: Bart Maat/ANP/dpa/picture alliance

শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলা নিয়ে মিয়ানমারের সমস্ত আপত্তি খারিজ করেছে৷ এর ফলে ২০১৯ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারে বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির করা মামলার শুনানি চলতে আর কোনো বাধা থাকল না৷

এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের সামরিক সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘প্রাথমিক আপত্তি প্রত্যাখ্যান করায় হতাশ মিয়ানমার৷'' তাদের দাবি যেসব কারণে এই মামলা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল সেগুলো আইনগতভাবে শক্তিশালী৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একজন বিচারকের একটি ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করেছেন৷

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া শুনানিতে অংশ নিয়ে মিয়ানমার মামলা নিয়ে আপত্তি তুলে ধরে৷ তাদের যুক্তি, গাম্বিয়া রাষ্ট্র হিসেবে নয় ৫৭ দেশের জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন-ওআইসি এর ‘ছায়া' হিসেবে এই মামলা করেছে৷ যেখানে আইসিজে এর নিয়ম অনুযায়ী শুধু রাষ্ট্রই মামলা করতে পারে, কোনো জোট নয়৷

মিয়ানমারের আরেকটি যুক্তি ছিল গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়া সরাসরি কোনো পক্ষে যুক্ত নয়৷ তাই মামলা করার এখতিয়ার তাদের নেই এবং আদালত প্রাথমিক অবস্থাতেই যাতে এটি খারিজ করে সেই দাবি জানায় তারা৷ তবে আইসিজে এর বিচারকরা মিয়ানমারের যুক্তিগুলো প্রত্যাখ্যান করেন এবং মামলা চলমান রাখার বিষয়ে শুক্রবার রায় দেন৷

মিয়ানমারের সেনাশাসন সমর্থন না করায় শতাধিক কূটনীতিক বহিষ্কার

২০১৭ সালে জীবন বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ছেড়ে পালিয়ে আসেন৷ তাদের বড় অংশ বাংলাদেশে আশ্রয় নেন৷ রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর চালানো খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের বিভীষিকাময় একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যম ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে৷

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের আচরণ ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সংক্রান্ত কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে৷ এই মামলায় দেশটিকে সহায়তা দেয়ার কথা বলেছে ক্যানাডা ও নেদারল্যান্ডস৷ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও৷

প্রায় আট লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা এখনো বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন৷ এই মামলায় পূর্ণ শুনানি এবং চূড়ান্ত রায় দিতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে৷

আরকেসি/এফএস (এএফপি)