আইসল্যান্ডে পর্যটকেরা লাভা দেখতে ছুটছেন
আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে৷ লাভা নির্গত হওয়ার সেই দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন৷
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের মেরাদালির ভ্যালিতে গত ৩ আগস্ট একটি আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়৷ আগামী ছয় মাস সেখান থেকে লাভা নির্গত হতে পারে বলে আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস ধারনা করছে৷
পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছেন
লাভা নির্গত হওয়ার দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন৷ সবচেয়ে কাছের গাড়ি পার্কিং এরিয়া থেকে সেখানে যেতে-আসতে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হচ্ছে৷ পথটা উঁচু-নীচু এবং প্রায় ৩০০ মিটার উঁচুতে আরোহন করতে হচ্ছে৷
প্রায় ৭০ মিটার উঁচু
এখন পর্যন্ত লাভা উদগিরনের উচ্চতা প্রায় ৭০ মিটার৷ অসাধারণ এই দৃশ্য দেখতে বৃষ্টি কিংবা বাতাসের মধ্যে কঠিন পথ পাড়ি দিচ্ছেন পর্যটকরা৷ ফ্রান্সের একজন পর্যটক এএফপিকে বলেন, ‘‘এটা এমন এক দৃশ্য যেটা হয়ত আপনি জীবনে একবার দেখবেন৷’’
অনুমিত ছিল
মেরাদালির ভ্যালিতে যে অগ্ন্যুৎপাত হবে সেটা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ কারণ কয়েকদিন ধরে ঐ এলাকায় ১০ হাজারের বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছিল৷ এক মধ্যে দুটির মাত্রা রিখটার স্কেলে পাঁচের ওপর ছিল৷
আগুন আর বরফের ভূমি
আইসল্যান্ডকে ‘ল্যান্ড অফ ফায়ার অ্যান্ড আইস’ বলা হয়৷ বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৩২টি আগ্নেয়গিরি সক্রিয় আছে - যা ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ গড়ে প্রতি পাঁচ বছরে দেশটিতে একবার অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে৷
৫০ বছরে সর্বোচ্চ
গতবছর ফাগরাডালসফিয়াদেল আগ্নেয়গিরিতে প্রায় ছয় মাস ধরে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল- যা আইসল্যান্ডে গত ৫০ বছরের বেশি সময়ে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা৷
বিমান চলাচল বিঘ্ন
২০১০ সালে এইয়াফিয়াদলাইয়োকুডল আগ্নেয়গিরি থেকে ছড়িয়ে পড়া ছাইয়ের কারণে ইউরোপজুড়ে প্রায় এক মাস ধরে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছিল৷