1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই সন্তান নীতি চায় আরএসএস

গৌতম হোড়
১৭ জানুয়ারি ২০২০

আরএসএসের এজেন্ডায় এখন দুই সন্তানের নীতি৷  সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেছেন, তাঁরা চান, সরকার আইন করে দুই সন্তানের নীতি চালু করুক৷ 

https://p.dw.com/p/3WLy5
ছবি: UNI

রামমন্দির তৈরি কেবল সময়ের অপেক্ষা, ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়ে গিয়েছে, তিন তালাকও আইনত নিষিদ্ধ, এই অবস্থায় আরএসএসের কর্মসূচির এক নম্বরে এখন দুই সন্তানের নীতি চালু করা৷  সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে স্বয়ংসেবকদের বলেছেন, আরএসএস চায় আইন করে দুই সন্তানের নীতি চালু হোক৷  তবে আইন সরকার করবে৷  আরএসএস কেবল তাঁদের মনোভাবের কথা জানাল৷  

ভাগবত জানিয়েছেন, রামমন্দির নিয়ে সরকারি ট্রাস্ট হয়ে গেলেই তাঁরা মন্দিরের বিষয় থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবেন৷ কাশী ও মথুরা কখনওই তাঁদের কর্মসূচিতে ছিল না৷ এ বার তাঁদের কর্মসূচিতে আছে, দুই সন্তানের নীতি চালু করা৷  ২০১৫ সালেও বিজয়া দশমীর ভাষণে সরসঙ্ঘচালক জনসংখ্য়া নীতি চালু করতে বলেছিলেন৷ 

কিন্তু এর আগে সঙ্ঘ পরিবারের প্রধান তিনটি কর্মসূচি ছিল, রামমন্দির, ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং অভিন্ন দেওয়ানী বিধি। প্রথম দুটো হয়েছে৷  কিন্তু অভিন্ন দেওয়ানী বিধি হয়নি৷  তা হলে কি সঙ্ঘ পরিবার এই বিষয়টি ছেড়ে দিল৷  আরএসএসের মিডিয়া সেল বিশ্ব সংবাদ কেন্দ্রর দায়িত্বে থাকা অরুণ আনন্দ ডয়েচে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''আমরা অভিন্ন দেওয়ানী বিধির দাবি থেকে সরে আসছি না৷  তবে তিন তালাক বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷  তাই অভিন্ন দেওয়ানী বিধি পরে করলেও হবে৷  কিন্তু সঙ্ঘের বরাবরের মত হল, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি৷  তাই তিনি এখন দুই সন্তানের নীতি নেওয়ার কথা বলেছেন৷'' 

বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের মধ্য়ে একটা ধারণা আছে, ভারতে প্রধাণত মুসলিমরাই জন্মনিয়ন্ত্রণ করে না৷  তারা বহু সন্তানের নীতিতে বিশ্বাস করে৷  মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য এম কিউ আর ইলিয়াস ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, দেশের সমস্যা থেকে নজর অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য এই সব বিষয় আনা হচ্ছে৷ কার কটা বাচ্চা হবে, সেটা তো সেই ব্যক্তির ওপরে নির্ভর করছে৷ এ নিয়ে আইন তো অসাংবিধানিক হবে৷ অল ইন্ডিয়া মুসলিম মজলিশ মুশাওরত এর সভাপতি নাবেদ হামিদের মত হল, বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার সমানে ঘৃণার রাজনীতি করছে৷  কারণ, পরপর দুটি জনগণনায় দেখা যাচ্ছে, মুসলিমদের জনসংখ্য়া বৃদ্ধির হার কমছে৷ 

কিন্তু বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, এই নীতি চালু হলে তো সকলের ওপরেই হবে৷ তা হলে এই ধরনের কথার তো কোনও অর্থই নেই৷  বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নীতি নিয়ে চলছে৷  ভারত কেন পিছিয়ে থাকবে?