1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গিদের জার্মান নাগরিকত্ব বাতিল?

৪ মার্চ ২০১৯

সিরিয়ায় আটক আইএস যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নেবার জন্য চাপের মুখে জার্মানির সরকার নাগরিকত্ব আইনে রদবদল ঘটিয়ে কিছু ক্ষেত্রে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/3EOjN
আইএস জঙ্গিদের মধ্যে জার্মানি তথা ইউরোপের অনেক নাগরিক
ছবি: picture-alliance/dpa/ Internet

ইউরোপের যে সব দেশের নাগরিক সন্ত্রাসবাদী আইএস গোষ্ঠীর যোদ্ধা হিসেবে সক্রিয় ছিল, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করার জন্য বিভিন্ন মহলে চাপ বাড়ছে৷ সিরিয়ায় কুর্দি গোষ্ঠী এসডিএফ-এর হাতে আটক এই সব আইএস যোদ্ধাদের যে যার দেশে ফিরিয়ে নেবার উদ্যোগের মাঝে বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় আইএস দমন অভিযান যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে মার্কিন সৈন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চান৷ অ্যামেরিকার জোটসঙ্গী কুর্দিরাও অনির্দিষ্টকাল ধরে আইএস বন্দিদের নিজেদের জিম্মায় রাখতে নারাজ৷ ট্রাম্প তাই ইউরোপের উদ্দেশ্যে প্রায় ৮০০ যোদ্ধার দায়িত্ব নেবার জন্য চাপ দিচ্ছেন৷ তিনি চান, ইউরোপের আদালতে তাদের বিচার হোক৷ অন্যথায় বন্দিদের মুক্তির হুমকি দিচ্ছেন তিনি৷ ইউরোপের অনেক দেশের মতো জার্মানিও এমন সব বিপজ্জনক নাগরিকদের দায়িত্ব নিয়ে সংশয়ের মুখোমুখি হচ্ছে৷

অনেক তর্কবিতর্কের পর জার্মানির জোট সরকার বিষয়টি নিয়ে অবশেষে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ আসলে গত বছর সরকার গঠনের সময়ই জোটসঙ্গীরা এমন এক নীতি স্থির করেছিল৷ তবে সেই পদক্ষেপ এতকাল কার্যকর করা হয়নি৷ জার্মানির স্যুডডয়চে সাইটুং সংবাদপত্র এবং এনডিআর ও ডাব্লিউডিআর সম্প্রচার কেন্দ্রের সূত্র অনুযায়ী, ঐ নীতির আওতায় নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে আইএস যোদ্ধাদের জার্মান নাগরিকত্ব বাতিল করা যাবে৷ যে সব প্রাপ্তবয়স্ক ও সক্রিয় যোদ্ধার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে, তারা এমন আইনের আওতায় পড়তে পারে৷ তবে এই আইন প্রণয়নের পর যাদের আটক করা হবে, একমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই তা কার্যকর হবে৷ অর্থাৎ বর্তমানে যে সব জার্মান নাগরিক এই অভিযোগে আটক রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করা যাবে না৷

উল্লেখ্য, জার্মানির বর্তমান আইন অনুযায়ী নাগরিকত্ব বাতিলের বিধান রয়েছে৷ তার আওতায় কোনো নাগরিক যদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া স্বেচ্ছায় কোনো বিদেশি সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেয়, সে ক্ষেত্রে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা সম্ভব৷ এই আইনটিকেই সম্প্রসারিত করতে চায় জার্মান সরকার৷

নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বর্তমান আইএস যোদ্ধাদের নিয়ে সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না৷ ফলে শেষ পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে বাধ্য হলে জার্মানিকে প্রচলিত আইনের আওতায় তাদের বিচার করতে হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স)