1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস যোগ, জার্মানিতে দোষী সাব্যস্ত ধর্ম প্রচারক

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

২০০১ সাল থেকে ওই ইসলামী ধর্ম প্রচারক জার্মানিতে আছেন। তাঁর মাধ্যমে বহু জার্মান আইএস-এ যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

https://p.dw.com/p/3ppjT
আবু ওয়ালার বিচার
ছবি: Getty Images/A. Körner

জার্মানির এক ইসলামী ধর্ম প্রচারককে সাড়ে দশ বছর জেলে রাখার নির্দেশ দিল উত্তর জার্মানির একটি আদালত। অভিযোগ, গত এক দশকে জার্মানি থেকে বহু ব্যক্তিকে ইরাক এবং সিরিয়ায় পাঠিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, আইএস-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে ওই ব্যক্তির। একই সঙ্গে তাঁর তিন সহযোগীকেও দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তাঁদের অবশ্য কম সময় জেলে থাকতে হবে।

অভিযুক্ত ধর্ম প্রচারকের নাম আবু ওয়ালা। ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০০১ সালে ইরাক থেকে জার্মানিতে আসেন। শরণার্থী হিসেবে জার্মানিতে আসার পরে লোয়ার স্যাক্সনি অঞ্চলে থাকতে শুরু করেন তিনি। ওই অঞ্চলেই একটি মসজিদে ধর্ম প্রচারক হিসেবে যোগ দেন। সেখানেই কাজ করতেন তিনি। ২০১৫-১৬ সালে প্রথম ওই মসজিদটি নজরে পড়ে পুলিশের। অভিযোগ মেলে, ওই মসজিদ থেকে উগ্র মতবাদ প্রচার করা হচ্ছে। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ আবু ওয়ালার খোঁজ পায়। জানা যায়, আবু ওয়ালার সংস্পর্শে এসে বেশ কিছু জার্মান ব্যক্তি আইএস হয়ে গিয়েছে। সিরিয়া এবং ইরাকে চলে গেছেন তাঁরা। জার্মানির দুই যমজ ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবরও মেলে সে সময়। জানা যায়, তাঁরাও আবু ওয়ালার সংস্পর্শে এসেছিলেন। তারপর ইরাকে আইএস সংগঠনে নাম লেখায়। ইরাকের একটি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ওই দুই ভাই।

ছবি নেই আবু ওয়ালার

আবু ওয়ালার নাম পেলেও তাঁর বিষয়ে তথ্য পেতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। অত্যন্ত সন্তর্পণে এতদিন কাজ চালিয়েছেন আবু ওয়ালা। কোথাও নিজের ছবি ব্যবহার করেননি। বেশ কিছু ভিডিও বার্তা দিলেও সব সময় ক্যামেরার দিকে পিঠ রেখে কথা বলেছেন তিনি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে অনেক দিন সময় লাগে পুলিশের। ২০১৭ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এত দিন ধরে বিচার চলছিল। বুধবার জার্মান আদালত শাস্তি ঘোষণা করল।

বিচারে আবু ওয়ালা

বিচারে আবু ওয়ালা অবশ্য দোষ স্বীকার করেননি। সরকারি আইনজীবী তাঁর সাড়ে ১১ বছরের শাস্তি চেয়েছিলেন। কিন্তু আবু ওয়ালার আইনজীবী নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। শেষপর্যন্ত বিচারক সাড়ে দশ বছরের শাস্তি ঘোষণা করেন। আবু ওয়ালাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিজের মুখে আদালতে কিছু বলতে চাননি। যা বলার তাঁর আইনজীবীই বলেছেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)