আইএস-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নির্যাতনের অভিযোগ
১৭ এপ্রিল ২০১৮তথাকথিত ইসলামী জঙ্গি ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সাথে যোগসাজস রয়েছে এমন সন্দেহভাজন ইরাকি নারী ও শিশুদের ওপর শরণার্থী শিবিরগুলোতে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি চলছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷
মঙ্গলবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘দ্য কনডেম: উইমেন অ্যান্ড চিল্ড্রেন আইসোলেটেড, ট্র্যাপড অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড ইন ইরাক-'এ বলা হয়, এসব নারী ও শিশুর যৌন নিপীড়ণে ইরাকি নিরাপত্তাবাহিনীও জড়িত৷
বাগদাদের উত্তরে নিনেভেহ এবং সালেহউদ্দীনের আটটি শরণার্থী শিবিরের মোট ৯২ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ প্রতিবেদন তৈরি করে৷
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস-এর তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহভাজন এসব নারী ও শিশুর সাথে কথা বলার পর তিনটি বিষয় উঠে এসেছে৷ প্রথমত, নির্যাতনের শিকার নারীদের অর্থ, মানবিক সাহায্য কিংবা অন্য পুরুষের হাত থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার নামে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাধ্য করা হয়৷ দ্বিতীয়ত, এসব নারী ধর্ষিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন৷ এ কথা তাঁরাই অ্যামনেস্টির সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী দলের কাছে জানিয়েছেন৷ অন্তত চারজন নারী জানিয়েছেন, তাঁরা ধর্ষণের প্রত্যক্ষ সাক্ষী৷ কখনো কখনো চোখে না দেখলেও ধর্ষিতার আর্তনাদ শুনেছেন৷
তৃতীয়ত, নারীরা যেসব পরিবারের প্রধান, সেগুলোতে খাবার ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্কট রয়েছে৷
এ প্রসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে অ্যামনেস্টির গবেষণা বিভাগের প্রধান লিন ম্যালুফ বলেন, ‘‘আইএস-এর সাথে জড়িত থাকার সন্দেহভাজন নারী ও শিশুদের বিনা অপরাধেই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে... এ অবমাননাকর যৌথ শাস্তি ভবিষ্যতে সহিংসতা তৈরির ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে৷''
‘‘ইরাকে দশকের পর দশক ধরে প্রান্তিক ও এ বিষাক্ত চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে দেশটির সরকার ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কোনও ধরনের বৈষম্য ছাড়াই মানবাধিকার নিশ্চিত করা উচিত৷''
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্যের মিডিয়া অ্যাডভাইজার কার্ল শেম্ব্রি বলেন, ‘‘এ ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেলে তারা ভাসমান অবস্থায় যাবে এবং আরেকবার শোষণের শিকার হবে৷''
এসিবি/ এইচআই (রয়টার্স, এপি, এএফপি)