1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস-এর উত্থানে ইরাক যুদ্ধ

২৬ অক্টোবর ২০১৫

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ার বলেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর উত্থানের অন্যতম কারণ ইরাক যুদ্ধ৷ ২০১১ সালে শুরু হওয়া আরব বসন্তও এর জন্য দায়ী৷

https://p.dw.com/p/1GuPR
Tony Blair
ছবি: Reuters/B. McDermid

মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লেয়ার বলেন, ইরাক যুদ্ধের কারণে আইএস-এর উত্থান হয়েছে বলে যে দাবি করা হয় তাতে ‘সত্যের উপাদান' আছে৷ ‘‘অবশ্যই আপনি এটা বলতে পারেন না যে, ২০০৩ সালে আমরা যারা সাদ্দাম হুসেনকে উৎখাত করেছি, তারা ২০১৫ সালে ইরাকের অবস্থার জন্য দায়ী নই'', রবিবার প্রচার হওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন ব্লেয়ার৷ অবশ্য সাদ্দাম হুসেনকে ক্ষমতা থেকে সরানোটা ঠিক পদক্ষেপ ছিল বলে দাবি ব্লেয়ারের৷ তবে সাদ্দাম পরবর্তী ইরাক কীভাবে চলবে সে ব্যাপারে পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল বলে স্বীকার করে নেন সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷

উল্লেখ্য, ইরাক যুদ্ধে ১৭৯ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়৷ ব্রিটেনের ঐ যুদ্ধে জড়িত হওয়া ঠিক ছিল কি না তা এখনও ব্রিটেনের রাজনীতিতে আলোচনার একটি বিষয়৷ ব্রিটেনে ২০১০ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির পরাজয়ের অন্যতম কারণ ইরাক যুদ্ধ বলেও মনে করা হয়৷ ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের যোগদান ঠিক ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে ২০০৯ সালে একটি তদন্ত শুরু হয়৷ অবশ্য ছয় বছরেও এই তদন্ত প্রতিবেদন (শিলকট প্রতিবেদন নামে পরিচিত) প্রকাশিত হয়নি৷

২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া আরব বসন্তও আইএস-এর উত্থানের আরেকটি কারণ বলেও মন্তব্য করেন ব্লেয়ার৷ তিনি মনে করেন, ইরাকের শিয়া সরকারের ‘সাম্প্রদায়িক নীতি' দেশটির বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য দায়ী৷

ব্লেয়ারের এই বক্তব্যে অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ ব্রিটেনের ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেট' পত্রিকায় সাংবাদিক রবার্ট ফিস্ক লিখেছেন, টোনি ব্লেয়ার ক্ষমা চেয়েছেন – তবে যুদ্ধের জন্য নয়, শুধুমাত্র ‘ইন্টেলিজেন্স'-এর জন্য৷

দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে মার্টিন শুলভ লিখেছেন, ইরাক যুদ্ধ না হলে বর্তমানে আইএস থাকত না বলে ব্লেয়ার যে মন্তব্য করেছেন সেটা ঠিক৷

শিলকট প্রতিবেদন প্রকাশের আগে কৈফিয়ত হিসেবে ব্লেয়ার এই বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করেন অ্যান্ড্রু পিয়ার্স৷ যদিও স্যার জন শিলকটের প্রতিবেদনে আসল তথ্য প্রকাশ পাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পিয়ার্সের৷

একইরকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেছেন ওয়েন জোনসের টুইটেও৷

জেরেমি হুইট মনে করেন, একমাত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি-র কাছে নিজেকে ধরা দিয়ে মুক্তি পেতে পারেন ব্লেয়ার৷

আইসিসি-তে ব্লেয়ারের বিচারের দাবিও জানিয়েছেন কেউ কেউ৷ এজাজ মুহাম্মদ খান লিখেছেন, ‘‘ইরাক যুদ্ধে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ নিহত হওয়ায় আইসিসি-তে টোনি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে অবশ্যই অভিযোগ আনতে হবে৷''

মুরালি নায়ারও আইসিসি-তে ব্লেয়ারের বিচার দাবি করেছেন৷

জেডএইচ/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য