1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইইডিসিআরে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ বন্ধ

৪ মে ২০২০

হাসপাতালে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার সুবিধা বাড়ায় আইইডিসিআর রোগ নির্ণয়ে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি এতদিন বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে আসছিল৷

https://p.dw.com/p/3bkSj
ছবি: bdnews24

এখন থেকে আইইডিসিআর তাদের কাজ গবেষণায় সীমাবদ্ধ রাখবে৷ আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষারমাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের কাজটি করবে৷  

রোববার থেকে আইইডিসিআরের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশে ডয়েচ ভেলের কন্টটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর-র সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান৷  তিনি বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আইইডিসিআর-র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন৷

রোববার রাতে তিনি বলেন, এখন থেকে আইইডিসিআর শুধু গবেষণার অংশ হিসেবে কিছু নমুনা সংগ্রহ করবে৷

‘‘রোগীর রোগ নির্ণয়ের জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ আইইডিসিআরের কাজের মধ্যে পড়ে না৷ আসলে আইইডিসিআর এপিডেমিওলজিক্যাল সার্ভিলেন্সের অংশ হিসেবে নমুনা সংগ্রহ করে৷ হাসপাতালগুলোয় এখন পরীক্ষার সুবিধা আছে৷ এ কারণে কমিউনিটি লেভেলে রোগ নির্ণয়ের জন্য যে নমুনা পরীক্ষা, তার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ে নিয়েছে৷ তারা এখন থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে এবং আইইডিসিআর এর বাইরে অন্য ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করবে৷’’

নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণার জন্য যে নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন, এখন আইইডিসিআর শুধু সেগুলোই সংগ্রহ করেব বলেও জানান ডা. মুশতাক হোসেন৷

রোগীপ্রতি কত টেস্ট?

বলেন, ‘‘নমুনা পরীক্ষার চাপে আইইডিসিআর তাদের মূল গবেষণা ঠিকমতো করতে পারছিল না৷

‘‘এছাড়া অন্যান্য ল্যাবরেটরিতে যে নমুনা পরীক্ষা চলছে, তার একটা অংশ আইইডিসিআর পুনরায় পরীক্ষা করবে৷ বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেফারেন্স ল্যাবরেটরি হিসেবে পরীক্ষার কোয়ালিটি কন্ট্রোলের জন্য এটা করা হবে৷ যেসব রেজাল্ট নেগেটিভ হয় সেগুলো পুনরায় পরীক্ষা করবে আইইডিসিআর৷’’

চীনের উহান থেকে সারা বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া শুরু করলে বাংলাদেশে কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা জানতে আইইডিসিআর-র ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়৷ প্রতিষ্ঠানটি গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত করে৷

নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকার মধ্যেও শুরুতে আইইডিসিআরের বাইরে নমুনা পরীক্ষায় সায় দিচ্ছিল না সরকার৷ সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে৷

আইইডিসিআরসহ দেশের ৩৩টি গবেষণাগারে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা চলছিল৷ এখন আইইডিসিআর এই দায়িত্ব থেকে সরে গেল৷ 

সোমবার নাগাদ দেশে যে ৮৭ হাজার ৬৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় তার বড় অংশের পরীক্ষা আইইডিসিআরের পরীক্ষাগারেই হয়েছে৷

সোমবার পর্যন্ত দেশে ১০ হাজার ১৪৩ জনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে৷ এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৮২ জন৷ সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২২০ জন৷

এসএনএল/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য