1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বন্ধ দক্ষিণ আফ্রিকায়

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

করোনার নতুন স্ট্রেইনের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যর্থ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন। সে কারণে, দক্ষিণ আফ্রিকা ওই ভ্যাকসিন দেয়া বন্ধ করল।

https://p.dw.com/p/3p2IG
দক্ষিণ আফ্রিকা টিকা
ছবি: Siphiwe Sibeko/AP Photo/picture alliance

দক্ষিণ আফ্রিকায় ধাক্কা খেল অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা। দেশের সরকার জানিয়ে দিল, আপাতত ওই টিকা সে দেশে দেওয়া হবে না। কারণ, নতুন ধরনের যে করোনা ভাইরাস দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত ছড়াচ্ছে, অক্সফোর্ডের আবিষ্কৃত টিকা তা আটকাতে পারছে না বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতিদক্ষিণ আফ্রিকায় এ নিয়ে একটি পরীক্ষা হয়েছিল। তাতেই এমন ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।

করোনার বি.১.৩৫১ ভেরিয়েন্টের ভাইরাস দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসটিই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছিল। ইউরোপের বেশ কিছু দেশেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ করোনা ভাইরাস থেকে এই জীবাণুটি অনেক বেশি সংক্রমক। সাধারণ করোনা ভাইরাস থেকে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি ছড়াতে পারে এই ভাইরাসটি। দক্ষিণ আফ্রিকায় এর জেরেই গত এক মাসে করোনা সংক্রমণের হার লাফিয়ে বেড়েছে। তারই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। প্রায় এক মিলিয়ন অর্থাৎ, ১০ লাখ ভ্যাকসিন দ্রুত দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন। কিন্তু তারই মধ্যে, দুই হাজার মানুষকে নিয়ে সেখানকার গবেষকরা একটি পরীক্ষা চালান। তাতেই দেখা যায়, কোভিডের নতুন স্ট্রেইনের মোকাবিলা করতে পারছে না অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি। তারপরই সেটি আপাতত ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে রোববার এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনো পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৪৬ হাজার মানুষের। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন ঠিক করেছে দ্রুত দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু তারই মধ্যে এই বিপর্যয় ঘটল। তবে সরকার জানিয়েছে, অ্যস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দিতে না পারলেও জনসন অ্যান্ড জনসন এবং ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। ওই দুইটি ভ্যাকসিন নতুন স্ট্রেইনের সঙ্গেও লড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকাও জানিয়েছে, নতুন স্ট্রেইনের সঙ্গে লড়াই করার মতো ভ্যাকসিন গরমের মধ্যেই তারা নিয়ে আসবে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)