1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাসপিরিনের কার্যকারিতা

৭ মে ২০১৪

অ্যাসপিরিন সাধারণত ব্যথা কিংবা জ্বরের ওষুধ হিসেবেই পরিচিত৷ এর গুণাগুণ নিয়ে আগে থেকেই রয়েছে তীব্র বিতর্ক৷ হৃদরোগ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ উপশম নিয়ে সেই বিতর্ক নতুন করে শুরু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1BuYi
ছবি: Fotolia/Nenov Brothers

গত সপ্তাহে জার্মান ওষুধ কোম্পানি বায়ার যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে যাতে অ্যাসপিরিনের প্যাকেটের গায়ে কিছু তথ্য পরিবর্তন করা হয়৷ প্যাকেটের গায়ে লেখা ছিল ‘যাদের কখনো হৃদরোগ হয়নি অ্যাসপিরিন তাদের জন্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে'৷

এফডিএ-র ক্লিনিকাল সায়েন্সের উপ-পরিচালক ডক্টর রবার্ট টেমপেল জানিয়েছেন, ‘‘অ্যাসপিরিন থেরাপি অর্থাৎ প্রতিদিন অ্যাসপিরিন গ্রহণের ক্ষেত্রে রোগীদের তাদের চিকিৎসকদের সাথে আলোচনা করা উচিত৷ আর চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন ঐ রোগীর শরীরে এর উপকারিতা বা অপকারিতা কতটুকু৷''

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও মাদক প্রশাসন এফডিএ সোমবার জানিয়েছে, জার্মান কোম্পানি অনুরোধ করার পর বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখেছেন৷ তারা খুঁজে দেখছেন যে সব ব্যক্তির কখনো হৃদরোগ হয়নি বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়নি, তারা যদি অ্যাসপিরিন গ্রহণ করে, তবে তা প্রতিরোধ করা যায় কিনা৷

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অ্যাসপিরিন থেরাপিতে রক্ত জমাট বাঁধা রোধ ও হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়৷ কিন্তু তাঁরা এও বলেছেন, প্রতিদিন অ্যাসপিরিন গ্রহণের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে৷ এর ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

Hand mit zwei grünen Pillen Tabletten
‘প্রতিদিন অ্যাসপিরিন গ্রহণের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে’ছবি: Fotolia/

এফডিএর ওয়েবসাইটে টেম্পেল জানান, ৯০-এর দশক থেকে জরিপে দেখা গিয়েছিল, যে সব রোগীর মাত্র একবার হার্ট অ্যাটাক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে, প্রতিদিন তারা যদি স্বল্প মাত্রার অ্যাসপিরিন গ্রহণ করে, তবে পরবর্তীতে তাদের ঐ রোগগুলোর পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়৷

তবে সম্প্রতি তারা সতর্কতার সাথে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন৷ এতে দেখা গেছে, যাদের হৃদরোগ বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়নি, রোগ প্রতিরোধক হিসেবে অ্যাসপিরিন তাদের জন্য খুব একটা উপযোগী নয়৷ ফলে প্রতিদিন এই ওষুধ গ্রহণ করলে মস্তিষ্ক ও পাকস্থলীতে ভয়াবহ রক্তক্ষরণ হওয়ার আশঙ্কা আছে৷

এর আগে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন স্বল্প পরিমাণে অ্যাসপিরিন গ্রহণ অনেক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে৷ গবেষণায় তাঁরা দেখেছিলেন অ্যাসপিরিন পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্যানসার থেকে মানুষকে সবচেয়ে বেশি রক্ষা করে৷

এপিবি/এসবি (রয়টার্স)