1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকায় নির্বাচনি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে সংঘাত

৪ মার্চ ২০২১

গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে চরম বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ডেমোক্র্যাটিক দল আমূল নির্বাচনি সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে৷ নিম্ন কক্ষে সাফল্য সত্ত্বেও উচ্চ কক্ষে সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3qBmW
ছবি: Mario Tama/Getty Images

বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো ধারাবাহিক গণতন্ত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোটদানের পথে একাধিক বাধার কারণে অনেক মানুষ এতকাল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশ নিতে পারেন নি৷ ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা থেকে শুরু করে ভোট দেওয়া পর্যন্ত পদে পদে নানা জটিলতা দেখা যায়৷ বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গসহ সমাজের প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলি এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়৷ ২০২০ সালেও অনেক মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন নি৷

ভোটদানের অধিকারে সাম্য আনতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একাধিক উদ্যোগের অঙ্গীকার করেছিলেন৷ তারই জের ধরে বুধবার সংসদের নিম্ন কক্ষে এক নির্বাচনি সংস্কার বিল পাস হলো৷ নিজস্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্যরা সহজেই সেই আইন অনুমোদন করলেন৷ উচ্চ কক্ষে দুই দলের প্রায় সমান শক্তির কারণে সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ বিরোধী রিপাবলিকান দলের কমপক্ষে ১০ জন সদস্যের সমর্থন ছাড়া সাফল্যের আশা নেই বললেই চলে৷

রিপাবলিকান দলের অনেক নেতা এখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় মেনে নিতে পারেন নি৷ নির্বাচনে কারচুপির মিথ্যা দাবির বিরুদ্ধে তাঁরা প্রকাশ্যে মুখ খোলেন নি৷ ফলে বিরোধী দলের কাছে নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর৷ ডেমোক্র্যাটিক দলের উদ্যোগের বিরোধিতা করে তাদের বক্তব্য, এক ফলে রাজ্যগুলির ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং নির্বাচনি কারচুপি প্রতিরোধ করা সহজে সম্ভব হবে না৷ প্রস্তাবিত নির্বাচনি সংস্কারের ক্ষেত্রে নির্বাচনে অর্থায়নের বিষয়টি আরও স্বচ্ছ করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ এমন সংস্কারের সুদূরপ্রসারী প্রভাব দেখা যেতে পারে৷

চলতি বছরে নির্বাচনি সংস্কারের উদ্যোগ অন্য একটি কারণেও বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে, ২০২২ সালের নির্বাচনের উপর যার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে৷ মার্কিন সেন্সাস দফতর আদমশুমারির ফল প্রকাশ করার পর রাজ্যের নির্বাচনি এলাকার মানচিত্র নতুন করে স্থির করতে হবে৷ ফলে কংগ্রেসের আসনগুলির চরিত্রও বদলে যাবে৷ এতকাল ৩৩টি রাজ্য সেই প্রক্রিয়ার কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এসেছে৷ নির্বাচনি সংস্কার সফল হলে সেই অধিকার খর্ব হতে পারে৷ তখন আর সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ পূরণ করতে নির্বাচনি এলাকার সীমানা স্থির করা যাবে না৷ ৪৩টি রাজ্যে ভোটাধিকার শক্তিশালী করার বদলে উলটে ভোটদানের পথে আরও বাধা সৃষ্টি করতে দুই'শোরও বেশি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে৷ বিশেষ করে সশরীরে ভোটদান ছাড়া বাকি পক্রিয়াগুলির পথে আরও বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে৷  দুই দলই নিজস্ব পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরতে জোরালো প্রচার অভিযান চালাচ্ছে৷

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাইডেন প্রশাসন সময় নষ্ট না করে জোরকদমে একাধিক অ্যাজেন্ডা কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের উদ্যোগ বিফল হবার পর থেকে বিরোধী রিপাবলিকান দলের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের সম্পর্ক আরও শীতল হয়ে পড়েছে৷ ফলে অ্যামেরিকার গণতান্ত্রিক প্রথা অনুযায়ী কিছু ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ বা আপোশ মীমাংসার সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি)