1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকার পর ইউরোপেও চাপের মুখে টিকটক

২৩ এপ্রিল ২০২৪

মার্কিন কংগ্রেস চীনা মালিকানার অ্যাপ টিকটকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ প্রস্তুত করছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও অ্যাপের লাইট সংস্করণের কারণে কম বয়সিদের ক্ষতির আশঙ্কায় কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4f4Yw
টিকটক (প্রতীকী ছবি)
যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপেও নিয়মে বাঁধা পড়তে পারে টিকটকছবি: Dan Kitwood/Getty Images

এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে টিকটকের রমরমা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়৷ চীনা মালিকানার এই অ্যাপ অসংখ্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরের আয়ের উৎসও বটে৷ কিন্তু ভারতের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে সেই অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে৷

কয়েক মাসের জটিলতার পর গত শনিবার মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষ যখন ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদন করলো, সেই ঘটনা সংবাদ শিরোনাম দখল করেছিল৷ একই অধিবেশনে মার্কিন সংসদ টিকটকের চীনা মালিক বাইটডান্স কোম্পানিকে সতর্ক করে দিয়েছে৷ এক বছরের মধ্যে সেই কোম্পানি টিকটকের মালিকানা হস্তান্তর না করলে জাতীয় স্তরে সেটি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে সংসদের নিম্ন কক্ষ৷ উচ্চ কক্ষেও বিলটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও টিকটকের প্রশ্নে রিপাব্লিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের মধ্যে যথেষ্ট ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে৷ টিকটকের মাধ্যমে চীনের সরকার অ্যামেরিকায় ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপর অন্যায় প্রভাব খাটাতে পারে বলে মার্কিন রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন৷ ফলে জাতীয় স্বার্থে এই প্রশ্নে কড়া অবস্থান নেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছে৷

এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নও টিকটকের প্রশ্নে আরো কড়া অবস্থান নিচ্ছে৷ ইউরোপেও চীনের অযাচিত প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা কাজ করছে৷ আপাতত টিকটক লাইট রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম বাতিল করার পথে এগোতে পারে এই রাষ্ট্রজোট৷ শিশু-কিশোরদের নেশার আশঙ্কা দূর করতে কোম্পানি যথেষ্ট পদক্ষেপ না নিলে বৃহস্পতিবারই সেই কর্মসূচি বন্ধ করা হতে পারে৷ ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট নামের আইনকে হাতিয়ার করে ইইউ ক্ষতিকর ও বেআইনি কনটেন্ট মোকাবিলার চেষ্টা করছে৷ টিকটক অবশ্য ইইউ-র হুমকি সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ১৮ বছরের কমবয়সিদের জন্য রিওয়ার্ডস হাবের দ্বার বন্ধ রাখা হয়েছে৷ ফলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ থাকার কথা নয়৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে টিকটকের বিরুদ্ধে অন্য একটি তদন্ত শুরু হয়েছে৷

অ্যামেরিকা ও ইউরোপে টিকটক ব্যবহারকারীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ মত প্রকাশের অধিকারের দোহাই দিয়ে  নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে৷ চীনের কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও টিকটক একই কারণে সংশয় প্রকাশ করছে৷ অ্যাটলান্টিকের দুই প্রান্তের অনেক রাজনৈতিক নেতা ও দল প্রচারের স্বার্থে টিকটক ব্যবহারও করছে৷ এখনই পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার পথে না গেলেও ইইউ টিকটকের উপর চাপ বজায় রাখছে৷ এমন পরিস্থিতিতে টিকটক অ্যামেরিকা ও ইউরোপের বাজার ধরে রাখতে অদূর ভবিষ্যতে সত্যি মালিকানা হস্তান্তর করবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)