অ্যামেরিকার কেন্টাকি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি রাজ্যে বন্যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ এই বিপর্যয় সামলাতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছে৷ পরিস্থিতি সম্পর্কে সার্বিক ধারণা পেতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে৷
আচমকা পানির স্রোতের ঢল
কেন্টাকি নদীর পানি আচমকা ফুলেফেঁপে উঠে জনপদ ডুবিয়ে দিয়েছে৷ ২৮শে জুলাই এমন বিপর্যয়ের ফলে রাজ্যের পূর্ব প্রান্তে কমপক্ষে আট জনের মৃত্যু হয়েছে৷ অনেক মানুষ বাধ্য হয়ে বাড়ির ছাদ বা গাছের উপর আশ্রয় নিয়েছে৷
বন্যার ধ্বংসলীলা
আকাশ থেকে তোলা ছবিতে কেন্টাকি নদীর নর্থ ফর্কের পরিস্থিতি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে৷ তবে বৃষ্টি থামার ফলে উদ্ধারকার্য সম্ভব হয়েছে৷ রাজ্যের দুর্গম এলাকাগুলিতে পৌঁছতে উদ্ধারকারী দলকে অবশ্য যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে৷ হেলিকপ্টার ও নৌকার মাধ্যমে বন্যাদুর্গত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে৷
সাধারণ মানুষের দুর্দশা
টোনিয়া স্মিথের পরিবারও বন্যার ফলে দিশাহার হয়ে পড়েছে৷ পরিবারের তিন সদস্য দড়ি ধরে ঝুলে পড়ে কোনোরকমে পানির স্রোত থেকে নিজেদের বাঁচাতে পেরেছেন৷ সে অবস্থায় খাদ্য সংগ্রহ করে খিদে মেটানো মোটেই সহজ কাজ নয়৷ কিন্তু প্রাণে বেঁচে গেলেও অনেকেই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন৷
উদ্ধারকারীদের তৎপরতা
উদ্ধারকারী দল ওক পরিবারকে নৌকায় করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে৷ প্রবল ঝড়বৃষ্টির কারণে কেন্টাকির পূর্বাঞ্চলে কিছু এলাকায় দ্রুত ১২ ইঞ্চি পানি জমেছিল৷ এমন ‘ফ্ল্যাশ ফ্লা়ড’ মানুষকে প্রস্তুতি বা আত্মরক্ষার কোনো সুযোগ দেয় নি৷
উদ্ধারের কাজে বিপদ
উদ্ধাকরকারী দলগুলিকেও কখনো বিপদে পড়তে হয়েছে৷ রাইট বিভার ক্রিক এলাকায় এমনই এক দলকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে৷ কর্তৃপক্ষের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়৷
পশুপাখির দুর্দশা
বন্যার পানির তোড়ে এক গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিল পোষা কুকুর জ্যাক৷ তার মালিক নিজের বাসা ও দোকানের ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে হিমসিম খেলেও কুকুরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন৷ বিমা না থাকায় নিজের গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকানটি আবার চালু করার আশা দেখছেন না তিনি৷