অস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে
দু’সপ্তাহ কেটে গেছে, এখনো জীবন্ত অ্যামেরিকার ফ্লোরিডায় একটি স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা৷ দেশটির বিভিন্ন শহরে ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমেছে৷ দেশের অস্ত্রআইনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলছে৷
দেশ জুড়ে বিক্ষোভ
অ্যারিজোনা থেকে ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা থেকে নিউ ইয়র্ক, অ্যামেরিকার সর্বত্র রাস্তায় নেমেছে ছাত্রছাত্রীরা৷ ফ্লোরিডার ঘটনার পর ছাত্রছাত্রীরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, বন্দুক আইন বদল না হলে তারা আন্দোলন থামাবে না৷ বস্তুত, ফ্লোরিডার ঘটনায় ১৭ জন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষাকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল৷
বন্ধ হোক হিংসা
ছাত্রছাত্রীদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘আর নয়’, ‘বন্ধ হোক অস্ত্রের হিংসা’৷ উল্লেখ্য, ফ্লোরিডার ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছিলেন, স্কুলগুলিতে যাতে এ ধরনের হামলা আর না হয়, তার দিকে নজর রাখবে সরকার৷ কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য প্রতিবারেই স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার পর এ ধরনের মন্তব্য করে সরকার, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ করা হয় না৷ অবিলম্বে নাগরিকের হাত থেকে অস্ত্র সরিয়ে নিতে হবে৷
পরিবর্তন চাই
লাস ভেগাস থেকে ওরল্যান্ডো, অ্যামেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনা বার বার ঘটেছে৷ ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, অস্ত্র আইনের পরিবর্তন হয়নি বলেই একের পর এক এমন ঘটনা ঘটেছে৷ এর জন্য সরকারকে দায় স্বীকার করতে হবে৷ এবং ব্যবস্থা নিতে হবে৷
সকলে সহযোগিতা করছে না
কোনো কোনো স্কুল অবশ্য ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনে খুশি নয়৷ বেশ কিছু স্কুলের কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষকেরাও এই আন্দোলনের শরিক হয়েছেন৷ কিন্তু কোনো কোনো স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলন তাঁরা সমর্থন করছেন না৷ এটাকে তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের কাজ নয় বলেই মনে করছেন৷
লাগাতার আন্দোলন
এর আগেও বহুবার অ্যামেরিকার স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে৷ আন্দোলন হয়েছে৷ আন্দোলন বন্ধও হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু এবারের আন্দোলন থামার নয়৷ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছে বহু অস্ত্রবিরোধী সংগঠনও৷ সকলেরই বক্তব্য, আইন বদল না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ জারি থাকবে৷